Advertisement
E-Paper

কবর থেকে উঠল ‘অপহৃতের’ দেহ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ হয়। অভিযোগে দাবি করা হয়, ঝাড়খণ্ড থেকে ধান কাটার যন্ত্র এনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া দিতেন নূরাই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০১:২৫
তিন দিন ধরে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ মৃতদেহ হয়ে থাকার পরে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ ময়না-তদন্ত করিয়ে দেহ কবর দেয়। প্রতীকী ছবি।

তিন দিন ধরে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ মৃতদেহ হয়ে থাকার পরে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ ময়না-তদন্ত করিয়ে দেহ কবর দেয়। প্রতীকী ছবি।

ফেসবুকের ‘নিউজ ফিডে’ এক ব্যক্তির দেহ দেখে তাঁকে নিখোঁজের দেহ দাবি করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কয়েকজন। পরে জানা গেল, ওই দেহই ভাতারের আলিনগরের ‘অপহৃত’ ব্যবসায়ী নূরাই শেখের।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে খুন করে গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিন দিন ধরে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ মৃতদেহ হয়ে থাকার পরে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ ময়না-তদন্ত করিয়ে দেহ কবর দেয়। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার রাধানগর এলাকার মাটি খুঁড়ে দেহটি তুলে শনিবার রাতে ভাতারে নিয়ে আসে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ হয়। অভিযোগে দাবি করা হয়, ঝাড়খণ্ড থেকে ধান কাটার যন্ত্র এনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া দিতেন নূরাই। সেই টাকার গোলমালের জন্যে রাধানগর থানার বাসিন্দা শওকত আলি-সহ কয়েকজন এসে তাঁকে অপহরণ করে। গত বুধবার রাতে স্থানীয় এক যুবকের ফেসবুক ‘নিউজ ফিডে’ একটি নদীতে এক জনের দেহ পড়ে থাকার ছবি দেখা যায়। ওই ছবি দেখে পরিজনেদের দাবি করেন, মুখের সামনের অংশ অ্যাসিডে পোড়া থাকলেও পোশাক দেখে মনে হচ্ছে ওই ব্যক্তিই নূরাই। তার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা বাদশাহী রোড অবরোধ শুরু করেন। অবরোধ তুলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আশ্বাস দেয়।

জেলা পুলিশ জানায়, ওই দিনই নূরাইয়ের ছোট ছেলে সামিন শেখ, আত্মীয় শেখ মহম্মদ-সহ পাঁচ জনকে নিয়ে ঝাড়খণ্ড রওনা দেয় ভাতার থানার পুলিশ আধিকারিক মধুসূদন ভাণ্ডারি। শুক্রবার সেখানকার রাধানগর থানায় যোগাযোগ করেন তাঁরা। ঝাড়খণ্ডের পুলিশের কাছে থাকা জামা-কাপড় দেখে চিনতে পারেন সামিন। তাঁকে জানানো হয়, তিন দিন ধরে দেহ অজ্ঞাতপরিচয় থাকায় তাঁরা রাধানগর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে সৈয়দপুরে কবর দিয়েছেন। শুক্রবার ওই দেহ মাটি থেকে তুলে ভাতার থানার হাতে তুলে দেওয়ার জন্যে সাহেবগঞ্জ আদালতে আবেদন করেন পুলিশ আধিকারিক মধুসূদন ভাণ্ডারি। আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক।

শেখ মহম্মদ বলেন, “মহকুমাশাসকের উপস্থিতিতে রাধানগর থানা দেহটি তুলে ভাতার থানার হাতে তুলে দেয়। নদী থেকে পুলিশ মৃতদেহটি তুলেছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি। আমরা চাই, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধানগর থানা ভবন থেকে চার কিলোমিটার দূরে অভিযুক্তের বাড়ি। সেখানে যৌথ ভাবে হানা দেওয়া হয়েছিল। তবে এক বৃদ্ধা ছাড়া আর কারও দেখা মেলেনি।

Jharkhand Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy