সেই হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।
আনন্দবাজার ডিজিটালে খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। গতকালই বর্ধমান পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীর বিরুদ্ধে সরাসরি ৫০ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন বর্ধমানের এক বেসরকারি শিশু হাসপাতালের অধিকর্তা চিকিৎসক আশরাফুল আলম মির্জা তিনি। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়-সহ স্বাস্থ্য ভবনে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে লাইসেন্স না পেলে হাসপাতাল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলেও জানিয়েছেন। ফলে সঙ্কটে পড়বে ১০ জন কোভিড আক্রান্ত শিশু-সহ আরও বেশ কিছু অসুস্থ শিশু। সেই খবর আনন্দবাজার ডিজিটালে প্রকাশিত হওয়ার পরই পদক্ষেপ করল প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসক বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে ছিলেন বর্ধমান পৌরসভার প্রশাসক দীপ্তার্ক বসুও। তবে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তবে অভিযোগকারী শিশু হাসপাতালে কর্ণধার আশরাফুল আলম মির্জা জানান, ‘‘আমাদের অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স আবেদন করতে বলেছেন মহকুমাশাসক। অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স পুর্ননবীকরণ করা যাবে, সে কথা আগে জানালে এত হয়রানিই হত না।’’ মির্জা পরিষ্কার জানান, তিনি অচলাবস্থা চান না। অনেক কষ্ট করে এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা হাসপাতাল চালাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy