এই গাড়িতেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল অক্সিজেন সিলিন্ডার। —নিজস্ব চিত্র।
বেশ কয়েকটি অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে কলকাতা থেকে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল ম্যাটাডরটি। লাকুর্ডির কাছে আচমকা আগুন লেগে বিপত্তি ঘটে। সিলিন্ডারগুলি ফেটে ছিটকে যায় এ দিক-ও দিক। আশপাশের মাঠ, নির্মীয়মাণ বাড়িতে গিয়ে পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। যানজটে প্রায় দু’ঘণ্টা স্তব্ধ হয়ে যায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে। তবে কোনও হতাহত নেই।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ লাকুর্ডির কাছে পৌঁছয় দুর্গাপুরগামী ম্যাটাডরটি। পাশের গাড়ির চালকদের থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার বোঝাই ম্যাটডরটির চালক জানতে পারেন, তার গাড়ির পিছনে আগুন জ্বলছে। দ্রুত গাড়ি থামাতে গিয়ে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা লাগে। রাস্তাতেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে জল আনতে যান চালক ও খালাসি। এরই মধ্যে ফাটতে তাকে সিলিন্ডারগুলি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার রাস্তা থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দূরে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে গিয়ে পড়ে। আর একটি রাস্তার কাছেই একটি বাগানে গিয়ে পড়ে। ওই বাড়িতে কর্মরত মিস্ত্রি দীপক দাস ও তাঁর সহকারি চাঁদ ঘোষ বলেন, ‘‘জ্বলন্ত কিছু একটা উড়ে এসে পড়ল বাড়িতে। তারপরেই কাজ ছেড়ে পালাই আমরা। পরে এসে দেখি ওটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের লোহার খোল।’’ স্থানীয় এক যুবক বাপি সাহাও বলেন, ‘‘উড়ন্ত জিনিসটিকে উল্কাপিণ্ড ভেবে ক্যামেরা বের করেছি, তখনই দেখি ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ল সেটি।’’ আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন ওই বাড়ির সামনে। তবে দেখা যায় ক্ষয়ক্ষতি কিছু হয়নি।
এ দিকে, লাকুর্ডির রাস্তায় তখন গাড়ি থামিয়ে দিয়েছেন একাধিক চালক। খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বিকেল পাঁচটা নাগাদ যানজট ছেড়ে রওনা দেয় গাড়িগুলি। তবে ওই ম্যাটাডরটির চালক ও খালাসির খোঁজ মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy