Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিরলগাছি সেতু সংস্কারের দাবি

দু’একদিন নয়, প্রায় পনেরো বছর ধরে বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে কালনার নিরলগাছি সেতু। নেই রেলিং, আলোর ব্যবস্থা। নড়বড়ে এই সেতু থেকেই সম্প্রতি ৪০ ফুট নীচে পড়ে গিয়েছিল বালিবোঝাই ট্রাক। ওই দুর্ঘটনার পরে ফের জোরালো হয়েছে সেতু মেরামতির দাবি।

বিপজ্জনক: রেলিং ভেঙে এমনই হাল সেতুর। নিজস্ব চিত্র।

বিপজ্জনক: রেলিং ভেঙে এমনই হাল সেতুর। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৭ ০০:৪৭
Share: Save:

দু’একদিন নয়, প্রায় পনেরো বছর ধরে বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে কালনার নিরলগাছি সেতু। নেই রেলিং, আলোর ব্যবস্থা। নড়বড়ে এই সেতু থেকেই সম্প্রতি ৪০ ফুট নীচে পড়ে গিয়েছিল বালিবোঝাই ট্রাক। ওই দুর্ঘটনার পরে ফের জোরালো হয়েছে সেতু মেরামতির দাবি।

আউশগ্রামের বেরেণ্ডা পঞ্চায়েত এলাকার বসন্তপুরের এই সেতু সংস্কারের জন্যে বহু দিন ধরেই তদ্বির করে আসছেন বাসিন্দারা। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আউশগ্রাম থেকে কালিদহ যাওয়ার রাস্তায় পড়ে এই সেতুটি। আউশগ্রাম থেকে কম সময়ে এই রাস্তা দিয়েই ভেদিয়া, বোলপুর যাওয়া যায়। এই রুটে বেশ কিছু বাসও চলে। স্থানীয় পঞ্চাশটি গ্রামের লোক এই রাস্তা ব্যবহার করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সঙ্কীর্ণ এই সেতু দিয়ে প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হয়। বেরেণ্ডার বাসিন্দা শেখ রহমতুল্লা জানান, ওই সেতুতে আগেও বেশ কয়েক বার দুর্ঘটনা ঘটেছে। একবার একটা ট্রাক নীচের নদীতে পড়ে গিয়েছিল। ছোটখাট দুর্ঘটনা তো লেগেই আছে।

নবগ্রামের বাসিন্দা তরুণ কোঁয়ার জানান, সেতুটি এতই সঙ্কীর্ণ যে একটা গাড়ি গেলে অন্য কোনও গাড়িকে পাশ দেওয়ার জায়গা থাকে না। বেরেণ্ডা পঞ্চায়েতের প্রধান রহুল আমিন চৌধুরিও মানছেন, সেতুটি দীর্ঘ দিন ধরেই এই অবস্থায় পড়ে আছে। এ ব্যাপারে বিডিও অফিসে জানানো হয়েছে। ওইটুকুই। শুধু ওই সেতু নয়, পাশের কান্দরের উপরে থাকা সেতুটিও সংস্কারের দাবি তুলেছেন অনেকে। এটিও মাঝেমধ্যে ভেঙে গিয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।

আউশগ্রাম ১ এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু জানান, সেতুটির মেরামতির জন্য ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ গ্রামোন্নয়ন পর্ষদে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Niralgachi bridge Reformation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE