প্রতীকী ছবি।
অবসরের পরে কেটে গিয়েছে প্রায় ১৫ মাস। কিন্তু তার পরেও পেনশন মিলছে না। এমনই অভিযোগ জানিয়ে বিডিও-র (অণ্ডাল) কাছে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন কাজোড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন কর্মী স্বপনকুমার রজক।
উখড়া নতুন পোস্টঅফিসপাড়ার বাসিন্দা স্বপনবাবু ১৯৯৯ সালে ৪১ বছর সাত মাস বয়সে তিনি কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তার পরে কাজোড়া পঞ্চায়েত থেকে ২০১৭-র ৩১ অক্টোবর তিনি অবসর নেন। অবসর নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা ও পেনশন চালু হওয়াই বিধি বলে প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। কিন্তু ‘পিএফ’ ছাড়া আর কিছুই মেলেনি বলে অভিযোগ স্বপনবাবুর।
স্বপনবাবু জানান, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাছে তিনি জানতে পারেন, বয়সজনিত সমস্যার কারণে তাঁর পাওনা আটকে আছে। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি নথিতে ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে আমাকে। নির্দিষ্ট বয়সে আমি কাজে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু সরকারি নথি তৈরি হতে অতিরিক্ত সময় লাগায় সমস্যা হয়েছে।’’
কী সেই সমস্যা?
স্বপনবাবু জানান, কাজে যোগ দেওয়ার সাত বছর পরে তিনি স্থায়ী হন। সেই অনুযায়ী কাজে যোগ দেওয়ার বয়স পেরিয়ে গিয়েছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কাজে যোগ দেওয়ার বয়স ৪২ বছর। স্বপনবাবুর দাবি, ‘‘এমন ঘটনা আমার কয়েক জন সহকর্মীর ক্ষেত্রেও ঘটেছিল। কিন্তু তাঁদের বকেয়া প্রাপ্য পেতে অসুবিধা হয়নি।’’
স্বপনবাবু জানান, তাঁর বাড়িতে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে রয়েছেন। তিনিই একমাত্র উপার্জনকারী। এই মুহূর্তে তাঁর উপার্জনও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলাম। তাতে সমস্যা না মেটায় এই মাসের ১৪ তারিখ বিডিও-র (অণ্ডাল) কাছে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছি। কোথাও কিছু আশ্বাস মেলেনি। এ বারও কিছু না হলে সপরিবার অনশনে বসতে হবে।’’
এ বিষয়ে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মহকুমা আধিকারিক সুসময় বিশ্বাস যদিও বলেন, ‘‘কাজে যোগ দেওয়া থেকে স্বপনবাবুর বেশ কিছু নথি মিলছে না। সেগুলির বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করে তাঁর অবসরকালীন বকেয়া মেটানো ও পেনশন চালুর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy