Advertisement
১১ ডিসেম্বর ২০২৪

সিপিএম নেতার বাবা খুন ভাতারে, অভিযুক্ত তৃণমূল

গ্রামে তৃণমূলের মিছিল ঢুকছে শুনেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন সিপিএম নেতা। হাঁকডাক শুনে তাঁর বৃদ্ধ বাবা বাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁকে গুলি করে মারা হল। মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ছয় সিপিএম কর্মী। বর্ধমানের ভাতারে ওই ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত তৃণমূলের ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে।

নিহতকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন নিরুপম সেন-সহ বাম নেতারা। ছবি: উদিত সিংহ।

নিহতকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন নিরুপম সেন-সহ বাম নেতারা। ছবি: উদিত সিংহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৫ ০২:২২
Share: Save:

গ্রামে তৃণমূলের মিছিল ঢুকছে শুনেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন সিপিএম নেতা। হাঁকডাক শুনে তাঁর বৃদ্ধ বাবা বাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁকে গুলি করে মারা হল। মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ছয় সিপিএম কর্মী।

বর্ধমানের ভাতারে ওই ঘটনায় সোমবার রাত পর্যন্ত তৃণমূলের ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। তবে ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক বনমালি হাজরার দাবি, “সিপিএমই আমাদের কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। তার জেরে সংঘর্ষ।”

রবিবার বিকেলে ভাতারে ধাঁধলসা গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় খুন হওয়া বৃদ্ধের নাম মঙ্গল হেমব্রম (৬০)। তাঁর ছেলে সনাতন হেমব্রম সিপিএমের ভাতার-২ লোকাল কমিটির সদস্য। এক কালে ‘লালদুর্গ’ বলে পরিচিত বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা গত কয়েক বছর ধরে তৃণমূলের নিরঙ্কুশ দখলে। সিপিএমের বহু পার্টি অফিস বন্ধ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সনাতনের নেতৃত্বেই লোকাল অফিস ফের খোলা হয়েছিল।

সনাতনের অভিযোগ, “তার পর থেকেই আমায় খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। আমায় না পেয়েই তৃণমূল বাবাকে খুন করেছে।” ভাতার থানায় ২৫ জন তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ করেন তিনি। বর্ধমানের এসপি কুণাল অগ্রবাল বলেন, “১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।”

স্থানীয় সূত্রের খবর, ধাঁধলসা গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় সিপিএমের এখনও প্রভাব রয়েছে। তৃণমূল এলাকা দখলের চেষ্টা করায় আগেও সেখানে দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। সনাতনের অভিযোগ, রবিবার বিকেলে তৃণমূলের শ’দেড়েক লোক মিছিল করে গ্রামে ঢোকে। রাস্তায় তাদের মুখোমুখি পড়ে যাওয়ায় জনা ছয়েক সিপিএম কর্মীকে লাঠি-টাঙ্গি নিয়ে আক্রমণ করা হয়। এর পরে মিছিল চলে আসে তাঁদের বাড়ির সামনে। সনাতন তত ক্ষণে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, “আমার খোঁজ করছিল ওরা। তা শুনে বাবা বাইরে বেরোলে তাঁকে মারতে-মারতে মাটিতে ফেলে বুকে-পায়ে তিনটি গুলি করে ওরা চলে যায়।”

রাতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মঙ্গলবাবু মারা যান। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিকের অভিযোগ, “আগেও ওখানে তৃণমূল হামলা করেছে।” যদিও বনমালিবাবুর দাবি, “ওখানে কয়েক জন সিপিএম ছেড়ে আমাদের দলে এসেছেন। সেই রাগে ওরা পরপর কয়েক দিন, এমনকী আজও আমাদের কিছু সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করেছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

mangal hembram tmc accused cpm leader murdered Nirupam Sen TMC Trinamool police Burdwan medical college
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy