যদি কিছু মেলে। পোড়া কারখানায় তল্লাশি খুদের। —নিজস্ব চিত্র।
মাঝরাতে পুড়ে ছাই হয়ে গেল শোলার কারখানা ও লাগোয়া গোয়ালঘর। শনিবার মঙ্গলকোটের বাজার গ্রামের ঘটনা। অসীম মিশ্র নামে ওই শোলাশিল্পীর দাবি, প্রাণহানি না হলেও বহু প্রতিমার সাজ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয় গবাদি পশুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সামনেই কালী পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো। জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। ফলে কাজ শেষ করে ফিরতে ফিরতে প্রতিদিনইন মাঝরাত হয়ে যায় চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা অসীমবাবুর। মঙ্গলবার রাতেও ফি দিনের মতো কাজ সেরে বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। আচমকা রাত একটা নাগাদ পড়শিদের চিৎকারে ঘুম ভাঙে। ততক্ষণে বাড়ি থেকে ফুট চল্লিশেক দূরের কারখানা দাউদাউ করে জ্বলছে। অসীমবাবুর কথায়, ‘‘বেরিয়ে দেখি কারখানা পুড়ে ছাই। খড়, চাল সব পুড়ে পড়ে গিয়েছে।’’ পাশের পুকুর থেকে জল ঢেলে কোনওরকমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। মারা যায় একটি গরু। পিঠে গুরুতর চোট লাগে আরেকটি গরুর। ওই শিল্পীর দাবি, লাখ দুয়েক টাকার শোলার সামগ্রী পুড়ে গিয়েছে। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, বর্ধমান থেকে কালীপুজোর, নবদ্বীপ থেকে রাসের ও চন্দননগর থেকে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রতিমার সাজের বায়না ছিল। মুকুট থেকে শুরু করে বর্ম, শোলার সব সামগ্রীই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কীভাবে কাজ সময়ে দেবেন তা নিয়ে মাথায় হাত অসীমবাবুর।
তাঁর মা পুষ্পরানি দেবীও বলেন, ‘‘‘পুজোকর্তারা আমাদের কথা শুনতে চাইছেন না। যাঁরা বায়না দিয়েছিলেন তাঁরা সঠিক সময়ে শোলার সামগ্রী চাইছেন। কী করে সব সামাল দেব কে জানে!’’ পুলিশের অনুমান, গোয়ালঘরে রাখা মশার ধূপ থেকে আগুন লাগতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy