উদ্ধার মোবাইল। নিজস্ব চিত্র
মোবাইলের দোকানে চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে প্রচুর ফোন, গাড়ি, মোটরবাইক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে দুর্গাপুরের কাদা রোড লাগোয়া এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়। কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘ধৃতদের জেরা করে দলে আর কেউ আছে কি না জানা হবে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ডিএসপি টাউনশিপের বি-জোনের চণ্ডীদাস সেক্টর মার্কেটে একটি মোবাইলের দোকানে চুরি হয়। সকালে দোকান খুলতে গিয়ে মালিক পিন্টু চৌধুরী দেখেন, তালা ভাঙা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। শনিবার রাতে পুলিশ খবর পায়, কাণ্ডেশ্বর ও কাদা রোড রিভারসাইড রোডের মাঝে একটি পুকুরের পাড়ে কয়েকজন জড়ো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পাঁচ জনকে ধরে ফেলে। তাদের কাছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি তলোয়ার, ছুরি ও লাঠি উদ্ধার হয়। পুলিশ জানায়, ধৃত রাজা প্রধান বেনাচিতির নতুনপল্লি, ঋষভ প্রধান গোপালমাঠ, গোপাল বাউড়ি অন্ডালের ছোড়া বাউড়িপাড়া, বেসন রুইদাস বেনাচিতির চাষিপাড়া নেতাজি কলোনি এবং পাপ্পু চৌহান সারদাপল্লি মেনগেট এলাকার বাসিন্দা। তাদের বয়স ১৯ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
পুলিশের দাবি, জেরার মুখে ধৃতেরা স্বীকার করেছে, তারা একাধিক চুরির ঘটনায় জড়িত। তাদের সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় চণ্ডীদাস সেক্টর মার্কেটে চুরি যাওয়া ৩৩টি নতুন ও ২৪টি পুরনো মোবাইল। ওই দোকানে জামাকাপড়ও বিক্রি হত। তেমন বেশ কিছু কাপড়ও উদ্ধার হয়। এছাড়া একটি গাড়ি, তিনটি মোটরবাইক, একটি স্কুটি, একটি ক্যামেরা, একটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার, বেশ কিছু পোশাক-সহ আরও কিছু জিনিসপত্র পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
ধৃতদের জেরা করে পুলিশ একটি ছিনতাইয়েরও কিনারা করেছে বলে জানান ডিসিপি (পূর্ব)। তিনি জানান, ২০ মার্চ ভিড়িঙ্গির কাছে রাজমহল রোডে বেসরকারি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। ডিসিপি (পূর্ব) বলেন, ‘‘ধৃতেরা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছে। জেরা করে টাকা উদ্ধার করা হবে।’’ রবিবার ধৃতদের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy