রাস্তার পাশে জমে জঞ্জাল।—নিজস্ব চিত্র।
এক সময়ে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। শহরের বর্জ্য নিষ্কাশন, পাশাপাশি আবর্জনা থেকে সার, জ্বালানি তৈরি করাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু বছর পাঁচেক আগে সেই কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে যেন জঞ্জালে ভরে উঠছে শহর, এমনই অভিযোগ রানিগঞ্জের বাসিন্দাদের।
দু’বছর চলার পরে বন্ধ হয়ে পড়া সেই কেন্দ্রের কাঠামোটুকু টিকে রয়েছে এখন। বেশিরভাগ সামগ্রীই চুরি হয়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখন শহর জুড়ে জমছে ময়লা-আবর্জনার পাহাড়়। বেশ কিছু এলাকায় বিধিনিষেধ না মেনেই যত্রতত্র ময়লা ফেলা হচ্ছে। এর জেরে নাকাল হতে হয়েছে। নানা রোগের প্রকোপ বাড়ছে। বাসস্ট্যন্ড ও স্টেশন এলাকার দোকানদারেরা নর্দমায় পরিত্যক্ত জিনিস ফেলে দিচ্ছেন অনেকে। এর জেরে চিনকুঠি মোড়-সহ ওই দুই এলাকা সামান্য বৃষ্টিতেই নর্দমা উপচে যায়। দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় জল জমে থাকে। নিত্যযাত্রীরা পড়েন বিপাকে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বর্ষায় দোকানে জল ঢুকে যায়। কলেজ পাড়া, হালদারবাঁধ, গির্জাপাড়ার কাছে নিচু এলাকায়, এমনকী নেতাজি সুভাষ রোডেও নিকাশি বেহাল।
হিলবস্তির বাসিন্দা বুরো বিষ্ণু জানান, বেশ কয়েক মাস পুরসভার কর্মীদের সপ্তাহে এক দিন সাফাইয়ে নামতে দেখা গিয়েছে। তাতে সুরাহা না হলেও কয়েক দিন স্বস্তি মিলত। রানিগঞ্জ বণিক সংগঠনের কর্তা কানাইয়া সিংহের অভিযোগ, “হঠাৎ সাফাই অভিযান শুরু করেছিল পুরসভা। কিন্তু মাঝে-মাঝেই তা বন্ধ হয়ে যায়। আবার শহরের এক অবস্থা হয়।” রানিগঞ্জ সিটিজেন্স ফোরামের সভাপতি রামদুলাল বসু বলেন, ‘‘আসানসোল পুরনিগমের সঙ্গে রানিগঞ্জ যুক্ত হওয়ার সময়ে আমরা ভেবেছিলাম, নাগরিক পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন হবে। তা এখনও চোখে পড়েনি।’’ তাঁদের আরও অভিযোগ, পুরনো শহর রানিগঞ্জ অপরিকল্পিত ভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে। তাই নিকাশির ব্যাপারে উপযুক্ত পরিকল্পনা একান্ত প্রয়োজন।
আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি অবশ্য বলেন, ‘‘নিয়মিত অভিযান চলছে। কোনও অভিযোগ পেলে নিশ্চয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy