অভিযান এই হোটেলেও। নিজস্ব চিত্র
রান্নার আগে কাঁচা মাংস রাখা মেঝেতে। আটার বস্তার গা ঘেঁষে রাখা ছাইয়ের বস্তা। রীতিমতো অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় রান্নাবান্না করছেন কর্মীরা। কয়েকটি হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অভিযানে গিয়ে এমন ছবিই দেখলেন দুর্গাপুর পুরসভার কর্তারা।
হোটেল-রেস্তোরাঁর রান্নাঘরের হাল ও খাবারের মান দেখতে শনিবার দুর্গাপুরে অভিযান চালায় পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর। সিটি সেন্টারের ক্ষুদিরাম সরণি, ভিড়িঙ্গি মোড় ও বেনাচিতি বাজারে মোট চারটি হোটেল ও রেঁস্তোরায় যান স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) লাভলি রায় জানান, ভিড়িঙ্গি মোড় ও বেনাচিতি বাজারে রেঁস্তোরা দু’টিতে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে সিএমইআরআইয়ে পাঠানো হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ দিন বিকেলে পুরসভার মেয়র পারিষদ-সহ স্বাস্থ্য দফতরের বেশ কয়েক জন প্রতিনিধি প্রথমে যান ক্ষুদিরাম সরণির একটি হোটেল ও রেঁস্তোরায়। সেখানে খাবার পরীক্ষা ও রান্নাঘর ঘুরে দেখেন তাঁরা। তবে সেখানে বিশেষ কিছু বেনিয়ম ধরা পড়েনি বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
সেখান থেকে প্রতিনিধিরা যান নাচন রোডে বেনাচিতি বাজারে একটি রেঁস্তোরায়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেটির লাইসেন্স নবীকরণ হয়নি। তাছাড়া রান্নাঘরটিও অস্বাস্থ্যকর। রান্নাঘরের কর্মীদের কারও নির্দিষ্ট পোশাক নেই। তাঁরা যথেষ্ট অপরিচ্ছন্ন বলেও অভিযোগ। কাঁচা মাংস মাটিতে পড়ে রয়েছে। রেঁস্তোরাটির রান্নাঘরে পাশাপাশি রাখা আছে ছাই ও আটার বস্তা। যে রঙ খাবারে মেশানো হয় সেটির নমুনা সংগ্রহ করেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। মেয়র পারিষদ লাভলিদেবী অভিযোগ করেন, সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর ভাবে চলছে ওই রেঁস্তোরাটি।
এর পরে তাঁরা যান ভিড়িঙ্গি মোড় লাগোয়া একটি রেঁস্তোরায়। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা জানান, সেটি চলে মিষ্টির দোকানের লাইসেন্সে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। এ ছাড়া ওই দোকানে খাবারে যে রঙ দেওয়া হয় সেটিও ঠিক নয়। সেই রঙের নমুনা সংগ্রহ করেন প্রতিনিধিরা। সব নমুনা সিএমআরইআইয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে জানান মেয়র পারিষদ। সেখান থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy