কখনও খবর মেলে, লুঠতরাজ চালানো দুষ্কৃতীরা ঠেক বসিয়েছে এখানে। কখনও বা অস্ত্র, মাদক-সহ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।— সব ক্ষেত্রেই ঘটনাস্থল একই, কুলটির লছিপুর। পুলিশের দাবি, প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায়, গ্রেফতার হওয়া অপরাধীরা ঝাড়খণ্ড-সহ ভিন্-রাজ্যের বাসিন্দা। পুলিশকর্তাদের একাংশের মতে, এই এলাকায় ‘আশ্রয়’ নিয়ে ‘আত্মগোপন’ করে থাকছে অপরাধীরা। এলাকাবাসীরও একাংশের ক্ষোভ, এর জেরে লছিপুর তো বটেই, সামগ্রিক ভাবে জেলার নিরাপত্তা পরিস্থিতিতেও সমস্যা হচ্ছে।
কী ধরনের অপরাধীরা ঠাঁই নিচ্ছে এই এলাকায়? আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তার সঙ্গে কথা বলে সাম্প্রতীক অতীতের বেশ কিছু ঘটনার কথা জানা গেল।
ঘটনা এক: হারুন আনসারি, আইনুল মিঞা। দু’জনেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। পুলিশের খাতায় লুঠ, খুন, ছিনতাই, বেআইনি অস্ত্র রাখা-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে দু’জনের নামে। বছরখানেক আগে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার নারায়ণপুরে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৫০ হাজার টাকা লুঠের অভিযোগের পরে অভিযান শুরু করে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। নজরদারি বা়ড়ানো হয় পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমান্তেও। কিন্তু দু’জনের টিকিটরও হদিস মেলেনি। শেষমেশ লছিপুরে দুই রাজ্যের পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশ জানায়, অস্ত্র, গুলি-সহ ধরা পড়ে দু’জনেই। ঝাড়খণ্ডের মাইথন, জামতাড়া, মিহিজাম, নিরশা নারায়ণপুর, তোপচাঁচ এলাকায় নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে অভিযুক্ত ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীর হদিস পায় পুলিশ।