Advertisement
E-Paper

খনির পাশে চিকিৎসকের দেহ

পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির পাশ থেকে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হল অন্ডালের ধান্ডাডিহিতে। পুলিশ জানায়, বিপ্লব নন্দী (৫০) নামে ওই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের বাড়ি রানিগঞ্জের রানিসায়ের মোড়ের কাছে। পরিবার খুনের অভিযোগ করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:২৪

পরিত্যক্ত খোলামুখ খনির পাশ থেকে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হল অন্ডালের ধান্ডাডিহিতে। পুলিশ জানায়, বিপ্লব নন্দী (৫০) নামে ওই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের বাড়ি রানিগঞ্জের রানিসায়ের মোড়ের কাছে। পরিবার খুনের অভিযোগ করেছে।

বিপ্লববাবুর রানিসায়ের মোড়ে চেম্বার ছিল। তাঁর স্ত্রী রিনাদেবী জামুড়িয়ায় পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। তিনি জানান, সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ বিপ্লববাবু তাঁকে মোটরবাইকে করে জামুড়িয়ায় পৌঁছে দেন। তার পরে সারা দিন আর কোনও যোগাযোগ ছিল না। বিপ্লববাবুর জামাইবাবু কেদার পাল জানান, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ খবর পান, অন্ডাল থানায় শ্যালকের দেহ রাখা আছে। সেখানে গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ দেহ উদ্ধার করার সময়ে ঘটনাস্থলে থাকা কয়েক জনের দাবি, মৃতের গলায় দড়ির ফাঁস ছিল। রিনাদেবী খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

বিপ্লববাবুর ছেলে হিমন কলকাতার কলেজে বি-টেক পড়ছেন। খবর পেয়ে সোমবার গভীর রাতে বাড়ি চলে আসেন তিনি। হিমন বলেন, ‘‘বাবার কোনও শত্রু ছিল বলে আমাদের কারও জানা নেই। কে বা কারা এমন ঘটাল, পুলিশ খুঁজে বের করুক।’’ বিপ্লববাবুর আদি বাড়ি ইকড়ায়। মঙ্গলবার সেখানে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না তাঁর বৃদ্ধ বাবা নারায়ণচন্দবাবু ও মা আরতিদেবী। তাঁদের আগলে রেখেছেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা জানান, বছর দেড়েক আগে ইকড়ায় নিজেদের বাড়িতেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় বিপ্লববাবুর ভাই ভাই প্রলয় নন্দীর। কুয়োয় রডের সঙ্গে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর দেহ মিলেছিল। এ বার বিপ্লববাবুর অপমৃত্যুতে ক্ষুব্ধ পড়শি ও আত্মীয়েরা। কেদারবাবু বলেন, ‘‘শীঘ্র ঘটনার কিনারা না হলে আমরা থানা ঘেরাও করব।” পুলিশ জানায়, মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

abandoned mine Hospital Doctor Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy