বাস রাখাকে কেন্দ্র করে শ্মশানযাত্রী ও বাসিন্দাদের বচসা, হাতাহাতির ঘটনায় দু’পক্ষের প্রায় ২৭ জন জখম হলেন। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ কাটোয়া শ্মশানঘাট লাগোয়া পালপাড়ার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভাতারের বড়বেলুনের সমাধি রায় নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। বৃদ্ধের দেহ দাহ করতে ওই এলাকার প্রায় একশো জন বাসিন্দা একটি বাসে চড়ে শ্মশানে আসেন। শবদাহের পরে দুপুর দু’টো নাগাদ গোলমাল শুরু হয় দু’পক্ষের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্মশানঘাট লাগোয়া একটি রাস্তায় শ্মশানযাত্রীরা বাসটি রাখেন। স্থানীয় কয়েক জন রিকশাওয়ালা বাস রাখার প্রতিবাদ করে জানান, রাস্তা সরু। যাতায়াতে অসুবিধে হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরেই দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি বাধে।
পালপাড়া সুকান্তপল্লির বাসিন্দা সমু মাল, তারা রাজোয়ারদের অভিযোগ, শ্মশানযাত্রীরা অনেকেই মদ্যপ ছিলেন। আচমকা তারা লাগোয়া দোকানে ভাঙচুর ও বাসিন্দাদের মারধর করতে শুরু করে। এলাকার মহিলাদের একাংশের অভিযোগ, বছর বারোর এক কিশোরকেও বাড়ি থেকে বের করে মারধর করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্মশানযাত্রীরা। তাঁদের পাল্টা দাবি, লাঠি, শাবল হাতে চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ভাঙচুর চালানো হয় শ্মশানযাত্রীদের বাসটিতেও। বড়বেলুনের বাসিন্দা অরবিন্দ যাদবের অভিযোগ, ‘‘কোনও প্ররোচনা ছাড়াই আচমকা দেখি পালপাড়ার কয়েক জন আমাদের বাস থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করে। গালিগালাজও করা হয়।’’
খবর পেয়েই পৌঁছয় পুলিশ। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠি চালায়। কয়েক জন জখম হন। যদিও লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করেছেন কাটোয়া থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের গোলমালের জেরে মোট ২৭ জন জখম হয়েছেন। তাঁদের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গোলমালের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০-১২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy