Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

আমানত না মেলায় ক্ষোভ

লগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে তা সময় মতো ফেরত মেলেনি। সেবি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আড়াইশো আমানতকারী। তার পরেও টাকা পাওয়া যায়নি। অথৈ জলে পড়ে এ বার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। বর্ধমান ও মেদিনীপুর জেলার এই আমানতকারীদের দাবি, ‘এমপিএস গ্রিনারি ডেভলাপার্স লিমিটেড’ নামে ওই সংস্থার বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পে মোটা সুদের আশায় তাঁরা টাকা রেখেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৪ ০১:০৭
Share: Save:

লগ্নি সংস্থায় টাকা রেখে তা সময় মতো ফেরত মেলেনি। সেবি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন আড়াইশো আমানতকারী। তার পরেও টাকা পাওয়া যায়নি। অথৈ জলে পড়ে এ বার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। বর্ধমান ও মেদিনীপুর জেলার এই আমানতকারীদের দাবি, ‘এমপিএস গ্রিনারি ডেভলাপার্স লিমিটেড’ নামে ওই সংস্থার বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পে মোটা সুদের আশায় তাঁরা টাকা রেখেছিলেন। কিন্তু এখন আমানত ফেরত পাচ্ছেন না। তাঁরা জানান, চলতি বছরের শুরুতে সংস্থা বিজ্ঞপ্তি দেয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁরা টাকা পাননি বলে অভিযোগ।

সংস্থার পক্ষে যে আমানতকারীদের টাকা ফেরানো সম্ভব হচ্ছে না, তা স্বীকার করে ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রমথনাথ মান্নার দাবি, “আমরা টাকা দিতে পারছি না তা সকলেই জানে। রাজ্য সরকার আমাদের উপর জমি কেনাবেচায় স্থগিতাদেশ জারি করেছে। জমি বিক্রি করতে না পেরেই আমাদের এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।”

ওই আমানতকারীরা হাইকোর্টে মামলা করার জন্য বর্ধমান জেলা ক্রেতা সুরক্ষা ও কল্যাণ কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছেন। সংস্থার সম্পাদক কুদরাতুল আবেদিনের বক্তব্য, “আমরা আমানতকারীদের হয়ে সেবি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে চিঠি লিখে সংস্থাটির কাজ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। রির্জাভ ব্যাঙ্কের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, ওই সংস্থা তাদের অনুমোদিত নয়। আরও জানানো হয়েছে, আমানতকারীদের টাকা না ফেরানোর বিষয়ে আমাদের অভিযোগ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কলকাতার রেজিষ্ট্রার অব কোম্পানিজের কাছে পাঠিয়েছে।” সেবি তাঁদের অভিযোগটি গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

আমানতকারীদের মধ্যে অনেকেই দুর্গাপুরের বাসিন্দা। ক্রেতা সুরক্ষা ও কল্যাণ কেন্দ্রের সভাপতি সুধাংশু শেখর মণ্ডলের দাবি, “সেবি এই সংস্থাটিকে একটি অস্থায়ী অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু শর্ত পূরণ না করায় ২০১১ সালের ২০ অগস্ট সেই রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে সেবি।”

সেবি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালের মে মাসে এই সংস্থাকে বাজার থেকে টাকা সংগ্রহের ‘কালেকটিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম’টি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন এই খাতে সংগ্রহ করা আমানতের পরিমাণ ছিল ১১৬৯.৩৯ কোটি টাকা। সে বছর ১১ মে সেবি সংস্থাকে জানায় ১৫ দিনের মধ্যে কোনও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ওই টাকা জমা দিতে হবে। কিন্তু সংস্থার তরফে ১৫ দিনের মধ্যে ওই পরিমাণ অর্থ জমা না পড়ায় সেবি সংস্থার অস্থায়ী রেজিষ্ট্রেশনটি বাতিল করে। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রমথনাথবাবু বলেন, “আমরা সম্প্রতি সেবির কাছে আমাদের সম্পত্তির তালিকা পেশ করেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

investment cheat fund agency burdwan agitation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE