Advertisement
E-Paper

ইসিএলে রক্ষী নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল করল কোর্ট

বেনিয়মের অভিযোগে স্থগিতাদেশ জারি হয়েছিল আগেই। এ বার ইসিএলের নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ৩১ মার্চ আদালত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের নির্দেশ দেন। অভিযোগকারীদের আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানান, আদালত জানিয়েছে, এ ভাবে নিয়োগের পদ্ধতি অবৈধ, অযৌক্তিক। সিবিআইকে দুনীর্তির বিরুদ্ধে তাদের তদন্ত জারি রাখা এবং ইসিএলকে অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নিদের্শ দিয়েছে আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৪ ০১:১৪

বেনিয়মের অভিযোগে স্থগিতাদেশ জারি হয়েছিল আগেই। এ বার ইসিএলের নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত ৩১ মার্চ আদালত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের নির্দেশ দেন। অভিযোগকারীদের আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানান, আদালত জানিয়েছে, এ ভাবে নিয়োগের পদ্ধতি অবৈধ, অযৌক্তিক। সিবিআইকে দুনীর্তির বিরুদ্ধে তাদের তদন্ত জারি রাখা এবং ইসিএলকে অভিযুক্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নিদের্শ দিয়েছে আদালত।

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের জুনে ২১৫ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ২৫০৮ জন আবেদন করেছেন জানিয়ে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ হয় সে মাসেই। কিন্তু তার কিছু দিন পরেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, প্রচণ্ড গরমের জন্য দৌড় পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হল। আবেদনকারীদের পরবর্তী পরীক্ষার দিন জানতে ইসিএলের ওয়েবসাইটে নজর রাখতে বলা হয়। এর পরে সে বছর জুলাইয়ে ৫ কিলোমিটার দৌড়ের পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হয়।

দুই আবেদনকারী বিশ্বজিৎ মাজি ও কান্তি বাউরি অভিযোগ করেন, এ ক্ষেত্রে আবার আবেদন প্রার্থীদের একটি নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ২৫০৮ জনেরই নাম রয়েছে। অথচ, সেখানে নতুন ১১ জনের নাম যোগ হয়েছে। বিশ্বজিৎবাবু, কান্তিবাবুদের অভিযোগ, “তালিকা খতিয়ে দেখা গেল, আগের তালিকায় ১১ জনের নাম দু’বার করে লেখা ছিল। ওই কারচুপি করে রাখা জায়গায় নতুন ১১ জনের নাম ঢুকিয়ে পরের তালিকা প্রকাশ হয়েছে।” তাঁরা আরও অভিযোগ করেন, ৫ কিলোমিটার দৌড়ের পরে ফের বিঞ্জপ্তি জারি করা হয়, এই দৌড়ে বেশির ভাগ প্রার্থীই নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছতে পারেননি। যাঁরা পারেননি, তাঁদের জন্য আবার ১৬০০ মিটার দৌড়ের পরীক্ষা নেওয়া হল।

কান্তিবাবুদের আরও অভিযোগ, “লিখিত পরীক্ষার আগে ইসিএল সদর দফতরের এক আধিকারিক এক লক্ষ টাকা করে দিলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা তা দিতে অস্বীকার করি।” তাঁরা দু’জন ২০১৩ সালের ৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে নিয়োগে অনিয়ম ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত সে মাসের ২৪ তারিখ ইসিএলের এই নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করে জানায়, মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ বৈধ গণ্য করা হবে না।

কান্তিবাবু ও বিশ্বজিৎবাবু গত জানুয়ারিতে সিবিআইয়ের কাছে এ বিষয়ে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান। বিশ্বজিৎবাবুদের দাবি, “আমরা ঘুষ চাওয়ার কথপোকথন রেকর্ড করে রেখেছি। আদালত এবং সিবিআইকে তা জমা দিয়েছি।” তাঁদের আইনজীবী পার্থবাবু জানান, আদালত সিবিআইকে এক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে তাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৭ মার্চ। সিবিআইয়ের তরফে দু’সপ্তাহ সময় চেয়ে নেওয়া হয়। এর পরে ৩১ মার্চ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছে কোর্ট। ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, “আদালতের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ করা হবে।”

ecl cancellation of examination
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy