Advertisement
E-Paper

মাধ্যমিকের পথে শ্লীলতাহানি, ধৃত ছাত্র-সহ চার জন

মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ চার জনকে। অভিযোগ, ওই যুবকদের বাধা দিতে গিয়ে নিগৃহীত হন মেয়েটির মা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ১৮:৫২

মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-সহ চার জনকে। অভিযোগ, ওই যুবকদের বাধা দিতে গিয়ে নিগৃহীত হন মেয়েটির মা। সোমবার দুপুরে বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লিতে স্থানীয় এক বাসিন্দা দেখিয়ে দেওয়ায় ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার হয় এক অভিযুক্ত। ওই বাসিন্দাকে হুমকি দিতে গিয়ে ধরা পড়ে আরও দু’জন। তাদের জেরা করে ধরা হয় আর এক জনকে।

বর্ধমানের পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা জানান, ঘটনার পরে ওই ছাত্রীকে পুলিশ ভ্যানে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। সে যাতে বাকি পরীক্ষাগুলি নির্বিঘ্নে দিতে যেতে পারে, সে দিকে নজর রাখা হবে বলে আশ্বাস পুলিশ সুপারের।

পুলিশ জানায়, মেয়েটির মা পাঁচ জনের নামে অভিযোগ করেছেন। কানাই মির্জা নামে এক অভিযুক্ত পলাতক। কানাই মির্জা এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর দাবি, “ঘটনার বিন্দুবিসর্গ জানি না। কোথাও পালিয়েও যাইনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” তৃণমূলের বর্ধমানের পর্যবেক্ষক অলোক দাসের বক্তব্য, “এই ঘটনায় দলের কেউ জড়িত কি না, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। যদি কেউ জড়িত থাকে, পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।”

বর্ধমান শহরের বাসিন্দা ওই মেয়েটির পরীক্ষাকেন্দ্র বিদ্যার্থী গার্লস স্কুলে। তার মায়ের অভিযোগ, “পাড়ার কিছু ছেলে আমার মেয়েকে মাঝে-মধ্যেই উত্ত্যক্ত করত। স্থানীয় মানুষজনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ ছিল। আজ, পরীক্ষার প্রথম দিন আমি মেয়েকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছিলাম। মাঝপথে ওই ছেলেদের কয়েকজন হাজির হয়। মেয়েকে গালিগালাজ ও টানাহ্যাঁচড়া শুরু করে। তুলে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে ওরা আমাকে ঠেলে ফেলে দেয়। শাড়ি টানাটানি করে।”

সুভাষপল্লি মোড়ের কাছে এই ঘটনা দেখে ছুটে যান এলাকার লোকজন। পরীক্ষা উপলক্ষে রাস্তায় বেশ কিছু পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিলেন। দৌড়ে যান তাঁরাও। তাঁদের দেখে ওই যুবকেরা পালায়। ওই ছাত্রী ও তার মাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়। খানিক পরে শেখ বিট্টু নামে এক অভিযুক্ত আশপাশে ঘোরাফেরা করার সময়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা দেখিয়ে দিলে, তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, এর কিছুক্ষণ পরে থানার সামনে গিয়ে স্থানীয় ওই বাসিন্দাকে হুমকি দিচ্ছিল অপর দুই অভিযুক্ত। তাদের মধ্যে এক জন এ বারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, অন্য জনের নাম শেখ রাজা। এই তিন জনকে জেরা করে শেখ রফিক নামে আর এক জনকে ধরা হয়।

ছাত্রীটি জানিয়েছে, এত কাণ্ডের পরেও পরীক্ষা ভালই হয়েছে তার।

harassment
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy