তিরিশ বছরের এক যুবকের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে রবিবার থেকে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সিপিএম ও তৃণমূল উভয়েই নিখোঁজ যুবককে নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ যুবকের নাম টুটুল মোল্লা। বাড়ি মঙ্গলকোটের ভাল্যগ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুরে। রবিবার ভোর থেকে টুটুলের খোঁজ মিলছে না বলে অভিযোগ। রবিবার দুপুরে মঙ্গলকোট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
বর্ধমানের পুলিশ সুপার মিরাজ খালিদ বলেন, “কিছু তথ্য পেয়েছি। তার ভিত্তিতে আমরা তদন্ত চালাচ্ছি।”
সিপিএমের দাবি, ওই যুবককে রাজনৈতিক উদ্দেশে অপহরণ করেছে তৃণমূল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টুটুল মোল্লা পেশায় ট্রাক্টর চালক। তিনি ধান্যরুখি গ্রামের অমর পালের (সিপিএম নেতা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় খুনে অন্যতম অভিযুক্ত) বাড়ির ট্রাক্টর চালাতেন। সাধারণত সাইকেল নিয়েই যাতায়াত করতেন টুটুল। রবিবার টুটুল নিখোঁজ হওয়ার পরে ধান্যরুখি গ্রামের কাছ থেকে সাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
টুটুলের স্ত্রী মফিজা বিবি বলেন, “আমার বর বাড়িতে টাকা রেখে দিয়ে ভোর তিনটে নাগাদ অমরবাবুর বাড়ি সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যায়। বলেছিল সকালে ফিরে আসব। কিন্তু দু’দিন কেটে গেলেও ফিরে আসেনি।” অভিযোগে মফিজা বিবি জানিয়েছেন, শনিবার রাতে টুটুল তাঁকে জানিয়েছিল, কে বা কারা তাঁকে ‘হুমকি’ দিয়েছিল। মফিজা বিবির অভিযোগ, “আমার স্বামী লোকসভার ভোটের দিন বা তার আগে সিপিএমের হয়ে পতাকা টাঙানো ও অন্যান্য কাজ করেছিল। সেটা সম্ভবত অন্য দলের লোকেরা ভাল চোখে নেয়নি।”
সিপিএমের ভাল্যগ্রাম অঞ্চলের নেতা শেখ মহব্বত অভিযোগ করেন, “টুটুল আমাদের দলের খুবই ভাল কর্মী। তাঁর পরিবারের অভিযোগ শোনার পর মনে হচ্ছে, এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের চক্রান্ত রয়েছে।” সিপিএমের ভাগীরথী অজয় জোনাল কমিটির সম্পাদক দুর্যোধন সরের অভিযোগ, “রাজনৈতিক উদ্দেশেই আমাদের কর্মীকে অপহরণ করা হয়েছে।” যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব পাল্টা টুটুলকে নিজেদের দলের সমর্থক বলে দাবি করেছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রদীপ চক্রবর্তীর (ভেটু) দাবি, “টুটলের বাড়ি আমাদের সমর্থক। তাঁরা আমাদের কাছে এসেছিল। আমরাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছি। পুলিশের কাছে টুটুলকে খুঁজে দেওয়ার দাবি করেছি। আমরাও ওঁকে খুঁজে বেড়াচ্ছি। টুটুুল ফিরে এলে বোঝা যাবে সিপিএম ঘৃণ্য রাজনীতি করছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার বিকালের দিকে কাটোয়া শহরে টুটুলকে দেখা গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরে কাটোয়ার কেশিয়াতে তদন্তে গিয়েছিল পুলিশ। পুলিশের আশা, নিখোঁজ যুবকের খোঁজ মিলবে শীঘ্রই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy