সপ্তাহখানেক আগে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনে এসেছিলেন হুগলির জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল। হাসপাতালে ঢোকার মুখে জমে থাকা আবর্জনা, দেওয়ালের সর্বত্র পানের পিক, কফ দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অপরিচ্ছন্ন হাসপাতালের পাশাপাশি কেন হাসপাতাল চত্বরে বাইরের গাড়ি ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাও হাসপাতাল সুপারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। খতিয়ে দেখেছিলেন হাসপাতালে সরকারি সুলভ মূল্যের ওষুধের দোকানের হাল-হকিকত। তার পর কিছু দিনের জন্য ছবিটি বদলেছিল। কিন্তু তারপর সে কে সেই!
জেলাশাসকের ধমকের পরেও পরিস্থিতি বিন্দুমাত্র বদলায়নি বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। হাসপাতালে বাইরের লোক এবং রোগীর বাড়ির পরিজন মিলিয়ে প্রচুর মানুষের যাতায়াত করেন উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। তাই হাসপাতালের মধ্যেই হোটেল, চায়ের দোকান খুলে ফেলেছেন কয়েকজন। হাসপাতাল চত্বরে গরু এবং শুয়োর ঘুরে বেরাতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, এক শ্রেণির গাড়ি চালক আবার হাসপাতালের একাংশে গ্যারাজ বানিয়ে ফেলেছেন।
রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালের সব আলো জ্বলে না। প্রয়োজনে মেলে না সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স। বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত অনেক অ্যাম্বুল্যান্স হাসপাতাল চত্বরেই দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে রোগীদের হাসপাতালে ঢোকা এবং বেরোনোয় অসুবিধা হয়। অভিযোগ, আঁধার নামলেই এই হাসপাতাল চত্বরে বসে যায় মদের আসর। বহিরাগত লোকজনে ভরে থাকে হাসপাতাল চত্বর।