Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Batagur baska

Batagur baska: বন দফতরের পুকুরে প্রজনন, বাটাগুর কচ্ছপ জিপিএস ট্র্যাকার নিয়ে সুন্দরবনের নদীতে

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত বিভিন্ন নদীতে ছাড়া হয় ১২টি পূর্ণ বয়স্ক এবং ৩৭০টি শিশু বাটাগুর কচ্ছপ।

সুন্দরবনের নদীতে ছাড়া হল বাটাগুর কচ্ছপ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোসাবা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৫১
Share: Save:

অতি বিপন্ন প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’ (রিভার টেরাপিন)-র জীবনচক্র জানতে এ বার অভিনব উদ্যোগ রাজ্য বন দফতরের। এই প্রথম আইইউসিএন-এর লাল তালিকায় ঠাঁই পাওয়া কচ্ছপের দেহে জিপিএস ট্রান্সমিটার বসিয়ে ছাড়া হল মুক্ত পরিবেশে। সম্প্রতি সুন্দরবনের নদীতে এই প্রজাতির কচ্ছপ ছাড়া হয়েছে। জিপিএস ট্রান্সমিটার-এর সাহায্যে তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার খুঁটিনাটি জানতে এই উদ্যোগ ‘সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প’ এবং ‘সুন্দরবন জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ক্ষেত্র’ কর্তৃপক্ষের।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে ছাড়া হয় ১২টি পূর্ণ বয়স্ক এবং ৩৭০টি বাচ্চা কচ্ছপ। কচ্ছপগুলি সজনেখালি ম্যানগ্রোভ সেন্টার-সহ অন্যান্য ক্যাম্পের বিশেষ পুকুরে রাখা ছিল। সেখানে কচ্ছপগুলি যাতে প্রকৃতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, সে জন্য পুকুরে জোয়ার-ভাটার জল খেলার ব্যবস্থা ছিল। টানা দু’বছর সমীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণের পর ‘জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস’ লাগিয়ে নদীতে ছাড়া হয় কচ্ছপগুলোকে। বন দফতরের সঙ্গে সামিল হয়েছে কচ্ছপ গবেষণা সংস্থা ‘টার্টল সার্ভাইভাল অ্যালায়েন্স’ (টিএসএ)।

গত এক দশক ধরে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের প্রজনন করিয়েছেন সুন্দরবন বাঘ প্রকল্পের কর্মীরা। আগেও প্রজনন করিয়ে নদীতে ছাড়া হয়েছিল বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির এই কচ্ছপ। কিন্তু জিপিএস না থাকায় তাদের গতিবিধি এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। তাই এ বার পরিকল্পনা করে জিপিএস ট্রান্সমিটার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা তাপস দাস বলেন, ‘‘বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপের সংখ্যা কমছে। সুন্দরবনে একে দেখা যায়। লুপ্তপ্রায় এই জীবকে বাঁচাতে আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যেই সফল প্রজনন সক্ষম হয়েছি আমরা। তবে এ বার কচ্ছপের দেহে জিপিএস ট্রান্সমিটার লাগানোয় তাদের পছন্দের বাসস্থান, গতিবিধি, প্রজনন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE