ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের নিয়ে মামলা হাই কোর্টে। ফাইল চিত্র।
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের অব্যবহিত পরে শাসকদলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে হাই কোর্টের নির্দেশে তার তদন্তও করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এ বার ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় ঘড়ছাড়াদের নিয়েও মামলা হয়েছে আদালতে। তবে মামলাকারীদের সেই অভিযোগকে ‘বোগাস’ বা 'ভুলভাল' বলে উড়িয়ে দিল রাজ্য।
মঙ্গলবার মামলাকারীদের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল আদালতে জানান, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় এখনও ভয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন না শতাধিক মানুষ। এমনকি আদালত এর প্রমাণ চাইলেও তাঁরা তা দিতে তৈরি বলে দাবি করেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী। তিনি জানান, ওই ব্যক্তিদের আদালতে ডেকে পাঠানো হোক। আইনজীবীর কথায়, ‘‘রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁদের নিয়ে আসতে আমরা তৈরি।’’ তবে তাঁর দাবি, এই কাজের খরচ বহন করতে হবে রাজ্যকেই।
আদালতে এরই উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় রিপোর্ট দিয়ে বলেন, মামলাকারীদের দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এজি এ-ও জানান, এর আগে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল (ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের তালিকা সংক্রান্ত)। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২৪৩ জনের নাম। তাঁদের মধ্যে ন’ জন দু’বার করে অভিযোগ করেছেন। ১১৭ জন বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। ২২ জনের সঙ্গে যোগাযোগই করা যায়নি।
এজি-র দাবি, ওই ২২ জনের মোবাইল নম্বরই ভুল দেওয়া হয়েছিল! তিনি আরও দাবি করেন, ৮৬ জন আর ফিরতে চাননি, তাঁরা অন্য কোথাও বাসস্থান তৈরি করেছেন। এঁদের এক জন মারা গিয়েছেন। আবার বেশ কয়েক জন পড়াশোনার জন্য বাইরে রয়েছেন। রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছে, মামলাকারীর তরফে যে তালিকার কথা বলা হয়েছে, তার কোনও সত্যতা নেই।
যদিও তা মানতে চাননি আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তাঁর দাবি, ভুক্তভোগীদের সবাইকে আদালতে আনার নির্দেশ দেওয়া হোক। এদিকে দুই পক্ষের সওয়াল জবাবের পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, কোভিড পরিস্থিতিতে কী ভাবে ঘরছাড়াদের আনার অনুমতি দেওয়া যায়! এখন আদালতই তো চলছে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। ঘরছাড়াদের তালিকা হলফনামা দিয়ে জানানো হলে তার পরে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy