প্রতীকী ছবি।
বিরোধীদের ভোটে দাঁড়ানো আটকাতে গোটা মনোনয়ন পর্ব জুড়েই মারধর-হুমকির অভিযোগ উঠছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই পর্ব মেটার পরে এখন পাল্টা মার দেওয়ার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
রবিবার রাতে নদিয়ার তেহট্টে তৃণমূল সমর্থকদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের কালনাতেও তৃণমূল নেতাকে লক্ষ করে তির ছোড়া হয়। দুই জায়গাতেই বিজেপির কয়েক জন গ্রেফতার হয়েছেন। পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে আবার সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে তৃণমূলের দুই নেতাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
তৃণমূলের তেহট্ট ব্লক কার্যকরী সভাপতি দিলীপ পোদ্দারের অভিযোগ, রবিবার রাতে সাহাপুরে অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে ফেরার পথে বিজেপির লোকজন অতর্কিতে হামলা চালায়। তাঁদের ছ’জন আহত হন। তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকিরা ভর্তি আছেন। ওই রাতেই তৃণমূল তেহট্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তিন বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিজেপির নদিয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অর্জুন বিশ্বাসের পাল্টা অভিযোগ, বাড়ি-বাড়ি ভোটের প্রচার সেরে ফেরার সময়ে তৃণমূলের লোকজন লাঠি-বাঁশ নিয়ে চড়াও হয়। তিন জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কাউকে ধরল না কেন? তেহট্ট থানার ব্যাখ্যা, সবে সোমবার বিকেলে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। তদন্ত হচ্ছে।
কালনা ১ ব্লকে নান্দাই পঞ্চায়েত এলাকায় আক্রান্ত হন তৃণমূল নেতা শিবাশিস সাহা। তাঁর অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপির লোকজন তাঁকে ধরে ‘কেন তৃণমূল করছিস’ বলে গালিগালাজ ও মারধর করে। গুলতি দিয়ে পাথর ও তির ছোড়া হয়। আঘাতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পুলিশ পরিমল হেমব্রম, মহাদেব সরেন, জামনি মাঝি ও জয়দেব ঘোষ নামে চার বিজেপি কর্মীকে ধরেছে। বিজেপির দাবি, মিথ্যে অভিযোগে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।
ওই রাতে রানিগঞ্জে আমরাসোতা এলাকায় প্রচার সেরে ফেরার সময়ে হামলার মুখে পড়েন মধু ঘোষ ও সমরেশ বাউরি নামে দুই তৃণমূল নেতা। তাঁদের অভিযোগ, রড ও লাঠি নিয়ে চড়াও হয় সিপিএমের কিছু লোকজন। আমরাসোতা পঞ্চায়েতটি গত বার সিপিএমের দখলে ছিল।
এ বারও পাঁচটি আসনের সব ক’টিতে তারা প্রার্থী দিয়েছে। তাদের দাবি, ভোটে লড়াই হবে বুঝে তৃণমূল মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy