Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Panchayat Poll

দুই দলের হয়ে ভোটযুদ্ধে তিন জা

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ যদিও বলেন, “বাম-বিজেপি জোটের কথা বহু দিন ধরেই বলে আসছি আমরা। এ বার তা প্রমাণিত।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৮ ০৩:৫৩
Share: Save:

একই বাড়ির তিন বৌ প্রার্থী হয়েছেন। দু’জন বিজেপির, একজন সিপিএমের। আর তাই দেখে তৃণমূলের দাবি, বাম ও বিজেপি এক সঙ্গে হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে।

কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চিলকিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি আসনে রায় পরিবারের ওই তিন বধূ অবশ্য সে সব কথায় গা করছেন না। তাঁদের দাবি, তৃণমূল সন্ত্রাস শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধেই তাঁরা প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে বাম ও বিজেপির এক সঙ্গে লড়ার কোনও ইঙ্গিত নেই।

তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ যদিও বলেন, “বাম-বিজেপি জোটের কথা বহু দিন ধরেই বলে আসছি আমরা। এ বার তা প্রমাণিত।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সিপিএম থেকেই অনেকে নানা জায়গায় বিজেপিতে গিয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছেন।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে অবশ্য বলেন, “আত্মীয়দের মধ্যে আলাদা আলাদা রাজনীতি করার উদাহারণ অনেক আছে। সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা মানুষের উপরে অত্যাচার করছে কারা? এই পরিবার সেই অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।’’

তিন জায়ের মধ্যে বিজেপি প্রার্থীদের নাম মায়া ও প্রভা রায়। বড় বৌ পপি রায় সিপিএম প্রার্থী। তিন জনেই চিলকিরহাট পঞ্চায়েতের আলাদা আলাদা বুথে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি বাড়ি। পপি জোরদার প্রচার শুরু করেছেন। মেজো মায়া এবং ছোট বৌ প্রভা কিছুটা গুটিয়ে রয়েছেন। তবে সাড়া পাচ্ছেন বলেই দাবি। এক সময় এই পরিবার বামেদের কট্টর সমর্থক বলেই পরিচিত ছিল। ওই তিন জা-র শ্বশুরমশায় যতীন রায় সিপিএমের কোচবিহার দক্ষিণ জোনাল কমিটির সম্পাদক ছিলেন। তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁর ছেলে মৃত্যুঞ্জয় সিপিএমের ওই জোনাল কমিটির নেতা। তিনি বলেন, “যার যে দল ভাল লাগবে, তিনি তা করতেই পারেন। এখানে কোনও জোটের ব্যাপার নেই। সবাই আলাদা আলাদা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন।’’

কিন্তু বাড়ির লোক কাদের হয়ে প্রচার করছেন? মৃত্যুঞ্জয়বাবুর দাবি, ‘‘আমি বাম প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছি। কোনও অসুবিধে হচ্ছে না।” বিজেপি অবশ্য দাবি করেছে, তাঁদের দুই প্রার্থীর প্রচারে বাধা দিচ্ছেন শাসক দলের লোকেরা। এমনকী তাঁদের বাড়িতে থাকা অসুবিধে হয়ে দাঁড়িয়েছে। মায়াদেবীর স্বামী এক সময় বাম কর্মী ছিলেন। পরে তৃণমূলে যান, এখন বিজেপির সঙ্গে।

তবে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কোনও ভাবেই মানতে নারাজ। তারা দাবি করছে, ‘‘কোথাও কোনও সন্ত্রাস নেই। অপপ্রচার করে শুধু সহানুভূতি টানার চেষ্টা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE