সোশ্যাল মিডিয়ায়তেও প্রচার বাড়চ্ছে শাসক দল।
আর শুধু দলীয় ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট নয়। গেরুয়া বাহিনীর মোকাবিলায় তৃণমূল এখন যুদ্ধক্ষেত্রের পরিধি বাড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
বিজেপি তাদের নিয়মিত কার্যকলাপ দলীয় ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ইউটিউবে প্রচার করে। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এবং দলের বাইরে সংযোগ রাখতে তাদের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও রয়েছে। সেই কারণেই দলের নেতা-কর্মীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বেশি তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রায়ই দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই এই উদ্যোগ।
সভা-সমাবেশের বাইরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও বেশি মুখর হতে একের পর এক ফেসবুক পেজ, টুইটার হ্যান্ড্ল, ওয়েবসাইট-পোর্টালে এখন তৃণমূলের ভিড়। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলের নানা বক্তব্য প্রচার করতে সোমবার থেকে প্রতি দিন বিকেল পাঁচটায় ফেসবুকে ‘লাইভ’ থাকছেন দলের নেতারা। রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে প্রচারের পাশাপাশি জনতার নানা প্রশ্নেরও মুখোমুখি হবেন তাঁরা। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্যও একটি করে ফেসবুক পেজ খুলেছে তারা। সেখানে স্থানীয় তৃণমূলের কার্যকলাপ, স্থানীয় সমস্যা, রাজ্য সরকারের উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলির পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সভা ও তাঁর ফেসবুক পোস্টও তুলে ধরা হচ্ছে। মমতা ছাড়াও দলের অন্য নেতাদের নির্দেশ এবং কেন্দ্রীয় কর্মসূচির ভিডিও-ও আপলোড করা হচ্ছে ওই ফেসবুক পেজগুলিতে। বিরোধী বিজেপি-র বিতর্কিত বিভিন্ন ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরও থাকছে সেখানে। সঙ্গে বিজেপি-অন্দরের নানা খবর এবং তথ্য জানিয়ে ‘চমক’ও দেওয়া হচ্ছে সেখানে। ফেসবুক পেজগুলির এই বিন্যাস প্রসঙ্গে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া র কাজের সঙ্গে যুক্ত এক নেতার বক্তব্য, ‘‘বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণাতে এই তথ্যগুলিই ব্যবহার করা যাবে।’’
নেট-দুনিয়ায় দলের সব স্তরের অংশগ্রহণ বাড়াতে দু’টি নিউজ পোর্টালও খুলেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে দলের প্রচার-গানও এই পোর্টালে এ বার জানিয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় সরকার কী ভাবে মানুষকে ‘বঞ্চনা’ করছে, তা নিয়েও নেট-দুনিয়ায় সরব রাজ্যের শাসক দল।
দলের প্রচারে বেশ কিছু নিউজ পোর্টালকেও পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। খুব সহজেই যাতে মানুষ, বিশেষ করে যুব সমাজ হাতে থাকা স্মার্টফোনে বিজেপি বিরোধিতার অস্ত্র পেয়ে যান, সে জন্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুপর্ণ মৈত্র এবং দীপ্তাংশু চৌধুরীকে এই সোশ্যাল মিডিয়া দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy