দিলীপ ঘোষ ফাইল চিত্র
বিজেপিও এ বার নির্বাচনী মামলার কথা ভাবছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ শনিবার জানান, বিধানসভা নির্বাচনে কম ব্যবধানে হারা আসনগুলিতে পুনর্গণনা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে চান তাঁরা। তিনি এ দিন বহরমপুরে বলেন, ‘‘আমরা যে সব আসনে অল্প ব্যবধানে হেরেছি, সেগুলিতে পুনর্গণনা চাইতে আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের উকিলদের টিম চিন্তাভাবনা করছে। কোন কোন আসনের জন্য আদালতে যাওয়া হবে, তা প্রায় ঠিকই হয়ে গিয়েছে।’’
উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে তাঁর পরাজয়কে চ্যালেঞ্জ করে ইতিমধ্যেই নির্বাচনী মামলায় গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বনগাঁ (দক্ষিণ), গোঘাট, বলরামপুর, ময়না—এই চারটি আসনের ফলাফল নিয়েও আদালতে মামলা দায়ের করেছে তৃণমূল।
আইনজীবী মহলের খবর, নির্বাচনের ফল ঘোষণার ৪৫ দিনের মধ্যে সরাসরি হাই কোর্টে মামলা করা যায়। বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর এ দিন পর্যন্ত ৪৮ দিন অতিক্রান্ত। সে ক্ষেত্রে এর পরে আর কোন নিয়মে বিজেপি ভোট পুনর্গণনার দাবি নিয়ে আদালতে যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘যে সময়ের মধ্যে আদালতে যাওয়া উচিত, তার মধ্যেই যাওয়া হবে। উকিলরা সেটা জানেন।’’
বিজেপি সূত্রের খবর, দাঁতন, তমলুক, জলপাইগুড়ি, মহিষাদল, নারায়ণগড়, বৈষ্ণবনগর, বর্ধমান, বড়জোড়া, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর পূর্ব, পাণ্ডবেশ্বর, হাবড়া, রানিবাঁধ—এই ১৩টি বিধানসভা আসনের সব ক’টিতে অথবা এই তালিকা থেকে কয়েকটি আসন বেছে আদালতে পুনর্গণনার দাবি জানাতে চায় দল। বিজেপি সূত্রের আরও খবর, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্যসভার সাংসদ ভূপেন্দ্র যাদব এই আইনি বিষয়টি দেখছেন।
তবে দিলীপবাবুদের ভোট পুনর্গণনার দাবিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। শাসক দলের নেতা তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলোন, ‘‘দিলীপদা আগে বলেছিলেন, ২০০ আসন পাচ্ছি। এখন আবার এ সব বলে আদালতে গিয়ে ওঁদের হারের ব্যবধান বেড়ে না যায়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy