অমিত শাহ কলকাতায় আসছেন ৪ মে। তার আগে কলকাতায় ২ মে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। তারও আগে রাজনৈতিক সঙ্ঘর্ষে দলের নিহত কর্মীদের পরিজনকে নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন যাত্রা ২৮ এপ্রিল। অমিত রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার পরেও একগুচ্ছ কর্মসূচি। সব মিলিয়ে এই বৈশাখেই দীর্ঘদিন পরে পথে নামার প্রস্তুতি চলছে বিজেপির। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে দরবার থেকে অমিতের সফর ও অন্যান্য কর্মসূচি সফল করতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি নেতারা। জেলায় জেলায় ঘুরে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন স্বয়ং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই সঙ্গে অন্যান্য নেতারাও শুরু করেছেন সফর।
২০২১ সালের ২ মে। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল। নীলবাড়ি দখলের স্বপ্ন দেখা বিজেপিকে ৭৭ আসন পেয়েই খুশি হতে হয়েছিল। এর পর থেকে বারবার ভাঙনের ছবি দেখেছে গেরুয়া শিবির। একের পর এক নেতা দল ছেড়েছেন। উপনির্বাচনে জেতা আসন রানাঘাট, দিনহাটা হাতছাড়া হয়েছে। মুকুল রায়-সহ পাঁচ বিধায়ক চলে গিয়েছেন তৃণমূলে। পুরভোটে গোটা রাজ্যেই পর্যুদস্ত হতে হয়েছে। আর সর্বশেষ দু’বারের জেতা আসানসোলে রেকর্ড পরিমাণ ভোটে হার। অন্য দিকে, গত এক বছরে কোনও আন্দোলনই গড়ে তুলতে পারেনি বিজেপি। করোনা পরিস্থিতির জন্য জমায়েতের উপরে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পরেও সে ভাবে কোনও বড় মিছিল বা সমাবেশ হয়নি কলকাতায়। পুরসভা ও রাজ্য নির্বাচনী দফতরের ঘেরাও কর্মসূচি নিলেও তেমন সাফল্য মেলেনি। এ বার তাই কোমর বেঁধে নেমেছে গেরুয়া শিবির।
রাজ্য বিজেপি-র মূল নজর ২ মে কলকাতায় মিছিল সফল করা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাকে ওই দিন কর্মী, সমর্থক নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। বড় সমাবেশের লক্ষ্যে কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগনাকে বেশি কর্মী আনার লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাকুঁড়া, পুরুলিয়ার উপরে। দলের সব সাংসদ, বিধায়ককে নিজের নিজের এলাকা থেকে বড় সংখ্যায় সমর্থক নিয়ে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।