Advertisement
E-Paper

বোমা, আগুন, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামানে রণক্ষেত্র কলকাতা

বিজেপির লালবাজার অভিযান ঘিরেও রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কলকতা। ব্রেবোর্ন রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে গোলমাল সবচেয়ে বেশি। টি বোর্ডের কাছে বিজেপির মিছিল থেকে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। নানা জায়গায় পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭ ১১:২৪
পুলিশ ব্যারিকেডের সামনে পড়ে রয়েছেন জখম বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

পুলিশ ব্যারিকেডের সামনে পড়ে রয়েছেন জখম বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

বিজেপির লালবাজার অভিযান ঘিরেও রণক্ষেত্র হয়ে উঠল কলকতা। ব্রেবোর্ন রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে গোলমাল সবচেয়ে বেশি। টি বোর্ডের কাছে বিজেপির মিছিল থেকে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। নানা জায়গায় পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। পাল্টা লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জলকামান নিয়ে ঝাঁপায় তৈরি থাকা বিশাল পুলিশবাহিনী। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী জখম হন। জখমদের মধ্যে আছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। সংঘর্ষের মধ্যেই আহত হন রাহুল সিংহ এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিজেপি সমর্থকরা। আর একটি সরকারি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরে কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হন। পুলিশ এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ এখনও চলছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দিলীপ ঘোষ, কৈলাশ বিজয়বর্গী সহ বহু বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থক।

“পুলিশের মারে ৬০ জনের বেশি বিজেপি কর্মী-সমর্থক জখম”, দাবি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের।

গ্রেফতার হয়েছেন রাহুল সিংহ।

বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট থেকে গ্রেফতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

ফের সাংবাদিকদের পেটাল পুলিশ। সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের সামনে পুলিশের লাঠির ঘায়ে আহত সাংবাদিক। প্রেসের জ্যাকেট গায়ে থাকা সত্ত্বেও পুলিশের লাঠির হাত থেকে বাঁচলেন না চিত্র সাংবাদিক।

বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে জ্বলছে পুলিশের গাড়ি।

পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি।

বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটেও জলকামান ছুড়ছে পুলিশ।

দুপুর সওয়া ২টো— গ্রেফতার দিলীপ ঘোষ।

জখম বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। অসুস্থ হয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি লকেট চট্টোপাধ্যায়।

বিধ্বস্ত নেত্রী। জখম দলীয় কর্মী।

ফের বোকা হল পুলিশ, লালবাজারের উল্টো দিকের একটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আচমকা কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে হাজির ৬ বিজেপি সমর্থক। সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হল তাঁদের। লালবাজারের উল্টো দিকের বাড়িগুলিতে তল্লাশি শুরু করল পুলিশ।

বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পুলিশের গাড়িতে আগুন। বহু গাড়ি ভাঙচুর।

দুপুর পৌনে ২টো— কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ।

পুলিশের পাল্টা লাঠিচার্জ।

পাথরের ঘায়ে কয়েক জন পুলিশকর্মী মাথা ফেটেছে।

ফিয়ার্স লেনের সামনে মিছিল থেকে পাথর ছোড়ার অভিযোগ।

পুলিশ-বিজেপি খণ্ডযুদ্ধ।

টি-বোর্ডের সামনে মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমার ছোড়ার অভিযোগ।

কাঁদানে গ্যাস চালাতে শুরু করেছে পুলিশ।

মিছিল থেকে পুলিশকর্মীদের দিকে ইট ছোড়ার অভিযোগ।

লাঠিচার্জ করছে পুলিশ।

মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান।

দুপুর দেড়টা— ব্রেবোর্ন রোডে ভাঙল পুলিশের বাঁশের ব্যারিকেড।

গ্রেফতার হয়ে লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও দিলীপ ঘোষ।

রূপা আরও বলেন, “পুলিশ আটকালেও আমরা এগোতেই থাকব। যত ক্ষণ না পুলিশ আমাদের মারবে আমরা এগোতেই থাকব।”

বিজেপি নেত্রী রূপা বলেন, “সামান্য ডেপুটেশন দিতে যাব। তা নিয়ে রাজ্য সরকারের এত পুলিশ মোতায়েনের কী প্রয়োজন।”

“লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক আজ পথে নামছেন”— দাবি দিলীপের।

মিছিলের সামনে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

দুপুর পৌনে ১টা-হাওড়া স্টেশন থেকে বিজেপি-র মিছিল শুরু হয়ে গেল।

বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে খণ্ডযুদ্ধে বিজেপি-পুলিশ।

আচমকাই লালবাজারের সামনে এসে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট ও লালবাজার ক্রসিংয়ের সামনে ওই বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।

বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বাসটি এসে পড়ে লালবাজারের একেবারে সামনে।

লালবাজারের সামনে আচমকা হাজির বিজেপি কর্মীরা, দেখুন ভিডিও:

আরও পড়ুন

আজ আবার পরীক্ষা লালবাজারের, বিজেপিরও

টি-বোর্ডের কাছে মোয়াতেন ডিসি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক-সহ পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এর পর লালবাজারে চলে যান তিনি।

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “মিছিল শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নির্ভর করবে পুলিশের উপর। ভিড় সামলানোর যোগ্যতা যদি পুলিশের না থাকে, তা হলে যা হবে তার দায় পুলিশকেই নিতে হবে।’’

বিজেপি সমর্থকদের গ্রেফতার করল পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

দক্ষিণমুখী গাড়িগুলিকে শ্যামবাজার মোড় ও ভূপেন বোস অ্যাভিনিউ থেকে এপিসি রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।

ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল থেকে মিছিলের জন্য বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট দিয়ে আসা গাড়িগুলিকে এস এন ব্যানার্জি রোড, লেনিন সরণি এবং জওহরলাল নেহরু রোডের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।

কলেজ স্কোয়ার থেকে বিজেপি-র যে মিছিলের জন্য ফিয়ার্স লেন, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে যানজটের আশঙ্কা।

বিজেপি-র মিছিল আটকাতে ব্যাপক পুলিশি বন্দোবস্ত।

কলকাতামুখী ছোট গাড়িগুলি হাওড়া থেকে স্ট্র্যান্ড রোড ধরে যাবে।

পুলিশ জানিয়েছে, হাওড়া থেকে কলকাতামুখী গাড়িগুলি ফোরশোর রোড হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে যাবে।

হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিলের জেরে এমজি রোড, ব্রেবোর্ন রোড, স্ট্র্যান্ড রোডে যানজটের আশঙ্কা।

যানজট রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।

টি-বোর্ড, বি বি গাঙ্গুলি-ফিয়ার্স লেন সংযোগস্থল, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট-ওয়াটারলু স্ট্রিটের সংযোগস্থল এবং গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের দিক থেকে মিছিলই এগোতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজার ঢোকার মূল চারটি বড় রাস্তা সকাল থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বড় অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড, জল কামান, গ্যাস এবং লাঠিধারী প্রায় ৩০০০ পুলিশ রাস্তায় নামবে।

সকাল ১০টা থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন

লালবাজার অভিযান ঘিরে যে সব রাস্তায় যানজটের সম্ভাবনা

মিছিল যে ভাবে এগোয়।

হাওড়া স্টেশন থেকে হাওড়া ব্রিজ, ব্রেবোর্ন রোড হয়ে মিছিল এগোবে লালবাজারের উদ্দেশে।

দুপুর ১টা নাগাদ ওই তিন জায়গা থেকে একসঙ্গে লালবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবে মিছিল।

হাওড়া থেকে মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়।

ধর্মতলা থেকে মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন রাহুল সিংহ ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

কলেজ স্কোয়্যার থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন।

বেলা ১২টা নাগাদ হাওড়া স্টেশন, কলেজ স্কোয়ার এবং ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল— এই তিনটি জায়গায় জমায়েত করবেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী, স্বাতী চক্রবর্তী, সুদীপ্ত ভৌমিক ও বিশ্বনাথ বণিক।

BJP Rally Kolkata Rally Kolkata Police Lalbazar Abhiyan BJP Lalbazar March
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy