বৃহস্পতিবার রাতে তমলুক থানায় আনিসুর। —নিজস্ব চিত্র
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কাঁথিতে সম্প্রতি সভা করেছিলেন। ২৯ জানুয়ারির ওই সভার পরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। দলীয় কার্যালয়ে হামলা, মোটরবাইকে আগুন, সরকারি বাস ভাঙচুরের মতো ঘটনায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তির তোলেন শাসকদলের নেতারা। তাতে নাম জড়িয়েছিল পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের। এছাড়া, গত ২৫ জানুয়ারি পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকার তৃণমূলের ব্যানার ও কর্মীকে মারধরের ঘটনাতেও আনিসুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আনিসুরকে ধরতে গত ১ ফেব্রুয়ারি পাঁশকুড়া, তমলুক এবং ময়না থানা একটি যৌথ অভিযান চালায়। সেই সময় আনিসুর পাঁশকুড়ার প্রতাপপুর এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন বলে জানা যায়। পুলিশ দেখে তিনি পালিয়ে যান। পুলিশের দাবি, ওই রাতেই সড়ক পথে ভুবনেশ্বর চলে যান তিনি। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে আনিসুর পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারিও ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে আনিসুর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। ওই ফেসবুক লাইভে আনিসুর জানান, তিনি ঘুরতে যাচ্ছেন।শীঘ্রই পাঁশকুড়ায় আসবেন।
যদিও প্রত্যেকটি ফেসবুক লাইভে দেওয়া লোকেশনগুলি ভুল ছিল বলে পুলিশের দাবি। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতেই আনিসুর ওই কাজ করেছিল বলে মনে করছে তারা। একাধিক মামলায় জড়িত আনিসুরকে ধরতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানা থেকে কলকাতা বিমানবন্দর থানাকে সতর্ক করা হয়। বিমানবন্দর থানা কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রেখে জানতে পারে, এ দিন আনিসুর কলকাতায় ফিরছে। সেই খবরের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের একটি দল আগে থেকেই পৌঁছে যায় কলকাতা বিমানবন্দরে। বিকেল ৫টা নাগাদ পুলিশ আনিসুর এবং তার এক সঙ্গী কৌশিক পণ্ডাকে গ্রেফতার করে। রাতেই আনিসুরকে তমলুক থানায় আনা হয়। আজ, শুক্রবার আনিসুরকে আদালতে তোলার কথা।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, ‘‘এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে আনিসুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁশকুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের ছিল। আর কাঁথি কাণ্ডেও আনিসুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy