খেজুরির উত্তেজনা থামাতে সক্রিয় পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পাল্টা খেজুরির হেড়িয়ায় সভা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভায় শুভেন্দু যোগ দিতে আসার আগেই খেজুরি-সহ একাধিক একালায় বিজেপি সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দলের বেশ কয়েক জন কর্মী আহত বলে দাবি বিজেপি-র। অভিযোগের তির তৃণমূল সমর্থকদের দিকে। তবে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বিজেপির অভিযোগ, খেজুরি থেকে বিজেপি কর্মীরা বাইক র্যালি করে হেড়িয়ার দিকে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সেই সময় বারাতলার কাছে তাঁদের উপর হামলা করা হয়। এর জেরে খেজুরি ২ উত্তর মণ্ডলের সভাপতি নিখিল আড়ি-সহ বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন। পাশাপাশি মাজনাতেও বিজেপি সমর্থকদের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এর প্রতিবাদে মাজনায় বেশ কিছু সময় পথ অবরোধ করে বিজেপি।
বারাতলায় আক্রান্ত হওয়ার পরেই পাল্টা প্রতিরোধে নামেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরাও। লাঠিসোটা নিয়ে তাঁরা হামলাকারীদের তাড়া করেন। ফাঁকা ধান জমি ধরে বিজেপি কর্মীরা ছুটে যান গ্রামের ভেতরে। বাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেন মহিলা-পুরুষেরা। সেই সময় ঘটনাস্থলে খেজুরি থানার কয়েক জন পুলিশকর্মী উপস্থিত থাকলেও, পরিস্থিতি তাঁদেরর হাতের বাইরে চলে যায়।
পরে খেজুরি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় যায়। হামলায় জখম বিজেপি নেতা-কর্মীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ ভাবে যাঁরা বার বার হামলা চালাচ্ছে, তাঁদের উচিত জবাব দেওয়া হবে। বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হলে পুলিশ কিছুই করছে না।’’
অন্য দিকে, গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ তৃণমূলের। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। জেলা কমিটির সদস্য মামুদ হোসেন বলেন, ‘‘তৃণমূলের কেউ হামলায় জড়িত নয়। বিজেপি-র নব্য ও পুরনোদের মধ্যেই ঝামেলা। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy