Advertisement
২৬ মার্চ ২০২৩
Calcutta High Court

দোষী হলে টাকা ফেরত সঙ্গে জেল! গ্রুপ ডির ‘ভুয়ো’ চাকরিপ্রাপকদের উদ্দেশে বিচারপতি বসু

কলকাতা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যাঁরা উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে কারচুপি করেছেন তাঁদের পাশাপাশি, সুবিধাভোগী চাকরিপ্রাপকেরাও দুর্নীতিতে সমান ভাবে দায়ী এবং কাউকে রেয়াত করা হবে না।

Justice Biswajit Basu ask CBI to include 1698 candidates in group-d recruitment scam.

বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, সুবিধাভোগী চাকরিপ্রাপকেরাও দুর্নীতিতে সমান ভাবে দায়ী এবং কাউকে রেয়াত করা হবে না। ফাইল চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৩:৪৫
Share: Save:

নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকা তো ফেরত দিতেই হবে, পাশাপাশি জেলেও যেতে হবে! গ্ৰুপ ডি নিয়োগ মামলায় ওএমআর শিট কারচুপিতে নাম থাকা ১৬৯৮ চাকরিপ্রাপককে কড়া বার্তা দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। একই সঙ্গে ওই চাকরিপ্রার্থীদের এই মামলায় যুক্ত করার কথাও সিবিআইকে তিনি বলেন।

Advertisement

বিচারপতি বসুর মন্তব্য, এই ১৬৯৮ জনের বক্তব্য শুনতে অবিলম্বে নোটিস জারি করা প্রয়োজন। এঁদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এই প্রসঙ্গে সিবিআই আদালতে জানায়, কয়েক জন সহযোগিতা করলেও সকলে সাহায্য করছেন না। কিন্তু যাঁরা সহযোগিতা করছেন না তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে সিবিআই আধিকারিকরা। পাল্টা বিচারপতি বসুর বক্তব্য, ‘‘সিবিআইয়ের উচিত এই ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকাও যাবে, জেলেও যেতে হবে জানিয়ে রাখলাম।’’

তিনি যোগ করেন, ‘‘যে ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট কারচুপি হওয়ার কারণে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের কেন মামলায় যুক্ত করছেন না? তদন্তে গতি আনুন, আনতে হবে।’’

পাশাপাশি, এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, বেআইনি চাকরি প্রাপকদের চাকরি ছেড়ে তদন্তে সহযোগিতা করার সুযোগ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু অনেকে সেই সুযোগ কাজে লাগাননি। যাঁরা উত্তরপত্র বা ওএমআর শিটে কারচুপি করেছেন তাঁদের পাশাপাশি, সুবিধাভোগী চাকরিপ্রাপকেরাও দুর্নীতিতে সমান ভাবে দায়ী এবং কাউকে রেয়াত করা হবে না।

Advertisement

বুধবার মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি বসুর মন্তব্য, ‘‘যাঁরা ওএমআর শিট বিকৃত করেছেন এবং এর ফলে যাঁরা উপকৃত হয়েছেন দু’জনেই সমান ভাবে এই দুর্নীতির জন্য দায়ী। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তদন্তে সহযোগিতার সুযোগ দিয়েছিলেন। অনেকে তা নেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.