Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Calcutta High Court

মিনাখাঁ এবং কেশপুর মামলার তদন্ত এনআইএ নেবে কি না সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের: কলকাতা হাই কোর্ট

গত ১৬ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ এবং ১৭ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মিনাখাঁয় মৃত্যু হয় এক নাবালিকার। এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা হয় উচ্চ আদালতে।

কেন্দ্রের উপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছাড়ল হাই কোর্ট।

কেন্দ্রের উপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছাড়ল হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ ১৪:৩৬
Share: Save:

মিনাখাঁ ও কেশপুরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জাতীয় তদন্তকারী দল (এনআইএ) তদন্ত করবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র। তাদের উপরেই এ সংক্রান্ত ভার ছাড়ল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওই দুই ঘটনার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এনআইএ তদন্তের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিক কেন্দ্রীয় সরকার।

গত ১৬ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ এবং ১৭ নভেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মিনাখাঁয় মৃত্যু হয় এক নাবালিকার। অন্য দিকে, কেশপুরে আহত হন তৃণমূলের এক কর্মী। এই দুটি পৃথক বোমাবাজির ঘটনায় এনআইএকে দিয়ে তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। ওই মামলাতেই এই নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।

প্রসঙ্গত, বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার চাঁপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের বকচোরা গ্রামে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী আবুল হোসেন গায়েনের বাড়িতে। পরে বম্ব স্কোয়াডের ৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল যায়। বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৮ বছরের শিশুকন্যা ঝুমা খাতুনের। ভাগ্নির মৃত্যুতে গ্রেফতার হন বাড়ির মালিক তথা তৃণমূল কর্মী আবুল। অভিযোগ ওঠে এই প্রথম নয়, এর আগেও অস্ত্র আইনে গ্রেফতার হন আবুল হোসেন গায়েন।

অন্য দিকে, মঙ্গলবার হাই কোর্টে রাজ্য জানায়, ইতিমধ্যে মিনাখাঁর বিস্ফোরণ নিয়ে কেন্দ্রকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। কেশপুর নিয়েও দ্রুত রিপোর্ট পাঠানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE