বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় নয়া নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আদালতের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে, প্রাথমিক টেটের যোগ্যতা নির্ণায়ক পদ্ধতিতে বৈষম্য থেকে যাচ্ছে। ওই চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জানান, চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কেউ ২০০৮ সালে, কেউ ২০১১ সালে, কেউ আবার ২০১৪ সালে মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মূল্যায়ন পদ্ধতি এবং প্রশ্নের ধরনে আমূল বদল আসার কারণে প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়ে যাচ্ছে। অথচ চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে মূল নম্বরের সঙ্গে এই নম্বরগুলিরও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। তাই এই চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীদের তরফে যোগ্যতা নির্ণায়ক পদ্ধতিতে বদল আনার আবেদন জানানো হয়।
চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ২৫ জানুয়ারি কমিটি এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট হাই কোর্টকে জমা দেবে। কমিটির সদস্য হিসাবে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শুভময় মৈত্রের নাম প্রস্তাব করেছেন বিচারপতি। কমিটির এক জন সদস্যের নাম প্রস্তাব করবেন শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব। অপর নামটি প্রস্তাব করবেন মামলাকারীদের আইনজীবী। প্রাথমিকের নিয়োগে যোগ্যতা নির্ণায়ক পদ্ধতিতে বদল আনা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy