শান্তনু সেন। ফাইল চিত্র ।
ডাক্তারি পাশ করার পর নেওয়া হিপোক্রেটিক ওথ-এর নাম বদলে চরক শপথ করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এবং এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা করার অনুমতি চেয়ে চিঠি দিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে পাঠানো চিঠিতে শান্তনু লেখেন, ‘ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের এনএমসি)) অর্ন্তগত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের জারি করা একটি নোটিস চিকিত্সা জগতে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। চিকিত্সাক্ষেত্রে ডাক্তারি পাশ করার পর হিপোক্রেটিক ওথ নেওয়ার প্রথা অনেকদিন ধরেই প্রচলিত। কিন্তু এই নোটিসে জানানো হয়েছে যে, ভবিষ্যতে ভাবী চিকিত্সকদের হিপোক্রেটিক ওথ-এর পরিবর্তিত নামে চরক শপথ নিতে হবে। হিপোক্রেটিক ওথ নেওয়ার দীর্ঘ প্রথা হঠাত্ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি।’ এই শপথ আয়ুর্বেদ চিকিত্সকদের জন্য জারি করা হলেও বাকি পড়ুয়াদের জন্য বিষয়টি ঐচ্ছিক রাখা উচিত বলেও তিনি এই চিঠিতে জানিয়েছেন।
২২ ফেব্রুয়ারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়াদের ক্লাস শুরুর আগে ‘চরক শপথ পাঠ করানো নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ‘হিপোক্রেটিক ওথ’-এর নাম বদলের সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। চলতি মাসে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছিল শুধু। এই অবস্থায় কেন ‘চরক’ শপথ পাঠ করানো হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ রঘুনাথ মিশ্র জানায়েছিলেন, ‘ভুল বুঝে’ ডাক্তারি পড়ুয়াদের ক্লাস শুরুর আগে ওই শপথ পাঠ করানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের ইর্ন্টানশিপের সময় ‘হিপোক্রেটিক ওথ’ পাঠ করানো হয়। কিন্তু চলতি মাসে দেশের সব মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। সেখানেই ‘হোয়াইট কোর্ট সেরিমনি’-তে ‘চরক শপথ’ পাঠ করানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে সংক্রান্ত ওই বৈঠকের একটি ‘মিনিটস’-ও সামনে আসে। সেটা আমরা বুঝতে ভুল করেছি। ভুল করেই ওই শপথ পাঠ করানো হয়। পড়ুয়াদের ইর্ন্টানশিপের সময় যে শপথ পাঠ করানোর নির্দেশ আসবে তা-ই পাঠ করানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy