Advertisement
E-Paper

আতঙ্ক ছড়াতেই মোমোর নামে ভুয়ো মেসেজ, সন্দেহ সিআইডির

সারা রাজ্য জুড়ে এত লোক যখন মোমোর মেসেজ পাচ্ছেন, তাতে ধরে নেওয়া যায় কি অনেকেই এই প্রযুক্তি জানেন এবং এই ভুয়ো মেসেজ পাঠানোর সঙ্গে অনেকে যুক্ত?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ১৯:১২
সিআইডি-র দাবি, যাঁরা মোমোর কাছ থেকে মেসেজ পেয়েছেন, সেই নম্বরগুলো সবই অনলাইনে পাওয়া নম্বর।

সিআইডি-র দাবি, যাঁরা মোমোর কাছ থেকে মেসেজ পেয়েছেন, সেই নম্বরগুলো সবই অনলাইনে পাওয়া নম্বর।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাঁরা মোমোর কাছ থেকে হোয়াটস অ্যাপে মোমো চ্যালেঞ্জ খেলার আমন্ত্রণ পেয়েছেন তার অধিকাংশই ভুয়ো।এমনটাই ইঙ্গিত করল সিআইডি।

মঙ্গলবার সিআইডি-র ডিআইজি (অপারেশনস) নিশাদ পারভেজ দাবি করেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কোথাও মোমো চ্যালেঞ্জের লিঙ্ক পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “কার্শিয়াঙে যে দু’টি ছাত্র-ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনার পেছনে মোমোযোগের কথা বলা হচ্ছে, তার কোনওটির সঙ্গেই মোমোর কোনও যোগাযোগ এখনও পাওয়া যায়নি।”

নিশাদ এ দিন দাবি করেন, যাঁরা মোমোর মেসেজ পাচ্ছেন একটি অজানা নম্বর থেকে সেগুলি জাল করা যায়। তিনি বলেন,‘‘যাঁদের প্রযুক্তিতে পারদর্শিতা আছে, তাঁরা সহজেই এই জাল নম্বর থেকে এ রকম মেসেজ হোয়াটস অ্যাপে পাঠাতে পারেন।” নিশাদ এ দিন নিজের মোবাইলে ঠিক একই রকম একটি মোমোর মেসেজ দেখিয়ে দাবি করেন সেটি ভুয়ো। তাঁর দাবি, এখনও পর্যন্ত যাঁদের কাছে মোমোর মেসেজ গিয়েছে, সেখানে কোথাও কোনও গেমের লিঙ্ক ছিল না। তাঁর যুক্তি, যদি কোনও লিঙ্ক না থাকে, তবে গেম খেলা হবে কী করে? তাঁর মতে, কেউ কেউ হয়তো মজা করে বা ইচ্ছে করে এ রকম ভুয়ো মেসেজ পাঠিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করতে চাইছেন।সাইবার বিশেষজ্ঞরাও বলছেন যে, হোয়াটস অ্যাপে এরকম অজানা নম্বর থেকে মেসেজ পাঠানো খুব কঠিন নয়।

আরও পড়ুন
‘আমি মোমো’, পাল্টা জবাব ‘আমি চাউমিন’!

কী ভাবে এই ভুয়ো মেসেজ পাঠানো হচ্ছে?

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনলাইনে এমন বেশ কিছু ওয়েব সাইট রয়েছে যারা এসএমএসের জন্য নম্বর ভাড়া দেয়। এ সব নম্বর ব্যবহার করে অন্যকে এসএমএস পাঠানোর পাশাপাশি নিজেকেও পাঠানো যায়। সেখানে কোনও নাম-ধাম কিছুই নথিভুক্ত করতে হয় না।

হোয়াটসঅ্যাপ চালু করার জন্য একটি ফোন নম্বর প্রয়োজন হয়। সেই নম্বরে হোয়াটস অ্যাপ একটি এসএমএস ভেরিফিকেশন কোড পাঠায়।যাঁরা এই অনলাইন এসএমএস নম্বর ভাড়া নিচ্ছেন, তাঁরা সেই নম্বরে অনলাইনেই ভেরিফিকেশন কোড পেয়ে যাচ্ছেন এবং সহজেই সেই অজানা নম্বর দিয়ে হোয়াটস অ্যাপ চালু করছেন। তারপর সেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মোমোর ছবি লাগিয়ে কাউকে মোমো বলে মেসেজ পাঠানো খুব একটা জটিল কাজ নয়।সিআইডির তদন্তকারীদের দাবি, এখনও পর্যন্ত যাঁরা মোমোর কাছ থেকে মেসেজ পেয়েছেন, সেই নম্বরগুলো সবই এ রকম অনলাইনে পাওয়া নম্বর। এগুলো সবই মূলত কানাডা বা আমেরিকার।তদন্তে জানা গিয়েছে, ভুয়ো মেসেজ পাঠিয়ে আতঙ্কিত করা হচ্ছে মানুষকে।

তা হলে, সারা রাজ্য জুড়ে এত লোক যখন এ রকম মেসেজ পাচ্ছেন, তাতে ধরে নেওয়া যায় কি অনেকেই এই প্রযুক্তি জানেন এবং এই ভুয়ো মেসেজ পাঠানোর সঙ্গে অনেকে যুক্ত?এই আতঙ্ক ছড়ানোর পেছনে কোনও বড় গ্যাং বা চক্র কাজ করছে কি? আর করলেও বা কারা এর পেছনে?সিআইডিকর্তা মঙ্গলবার নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।

আরও পড়ুন
খারাপ খবর বাদ, দিনভর শুধুই ‘সুসংবাদ’ জানাবে গুগল

তদন্তকারীদের একটা অংশ যদিও দাবি করেছেন, এই নম্বরগুলো ট্র্যাক করার মতো প্রযুক্তি তাঁদের কাছে নেই। ডিআইজিযদিও সব শেষে বলেন, তাঁদের তরফে সচেতনতা বাড়ানোর প্রচার চালানো হবে। যাতে অযথা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়ায়। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কেউ যদি এ রকম মেসেজ পান, তাহলে অবিলম্বে যেন তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’’

Crime CID Momo Game
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy