Advertisement
১০ অক্টোবর ২০২৪
Mamata Banerjee

‘পুজোয় চা-বিস্কুট-ঘুগনি আর তেলেভাজার ব্যবসা করুন, দিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারবেন না’, বললেন মমতা

কচুরিপানাকে শুকিয়ে যে সুন্দর থালা তৈরি করা যায়, সে কথা এসেছে মমতার বক্তৃতায়। এসেছে, পুজোর মরসুমে ফোটা কাশফুল ‘এককাট্টা করে’ তুলোর বিকল্প হিসাবে বালিশে ব্যবহারের প্রসঙ্গও।

খড়্গপুরের কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খড়্গপুরের কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:০৩
Share: Save:

আর দিন পনেরো পরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। তার আগে রাজ্যবাসীকে কর্মসংস্থানের নয়া দিশা দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে যুবসমাজকে তাঁর বার্তা— ‘‘একটু খেটে খেতে হবে।’’

বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা পরামর্শ দিয়েছেন, ‘‘এক হাজার টাকা জোগাড় করে একটা কেটলি কিনুন আর মাটির ভাঁড় নিন। সঙ্গে কিছু বিস্কুট নিন। আস্তে আস্তে বাড়বে।’’ কী ভাবে বাড়বে? তার রাস্তাও বাতলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথম সপ্তাহে বিস্কুট নিলেন। তার পরের সপ্তাহে মাকে বললেন, ‘একটু ঘুগনি তৈরি করে দাও।’ তার পরের সপ্তাহে একটু তেলেভাজা করলেন। একটা টুল আর একটা টেবিল নিয়ে বসলেন। এই তো পুজো আসছে সামনে। দেখবেন লোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না! আজকাল এত বিক্রি আছে!’’

অতীতে তেলভাজাকে নির্ভর করে কর্মসংস্থানের বিকল্প দিশার কথা বলেছেন মমতা। ‘চপকে শিল্পের তকমা দেওয়া’ নিয়ে বিরোধীদের নিশানাও হতে হয়েছে তাঁকে। সে প্রসঙ্গের প্রতি ইঙ্গিত করে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি আগে বললে অনেকে আমাকে টোন-টিটিকিরি করত। তাঁরা আজকে বুঝবেন।’’ সেই সঙ্গে তাঁর বার্তা, ‘‘কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়। যত মানুষ মাটি থেকে উঠে আকাশ ছুঁয়েছেন, এটাই তাঁদের কাহিনি।’’ বস্তুত, মমতার প্রস্তাবিত চপশিল্প নিয়ে গবেষণাপত্র লিখে ‘ডক্টরেট’-ও করেছেন উত্তরবঙ্গের এক গবেষক। বৃহস্পতিবারেও মমতার পরামর্শ শুনে শ্রোতাদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ এবং হর্ষধ্বনি শোনা গিয়েছে।

গ্রামীণ কুটিরশিল্পকে নতুন মাত্রা দেওয়ার কথাও বৃহস্পতিবার শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। গ্রামবাংলার খালে-বিলে ভেসে থাকা কচুরিপানাকে শুকিয়ে যে সুন্দর থালা তৈরি করা যায়, সে কথাও এসেছে তাঁর বক্তৃতায়। এসেছে পুজোর মরসুমে অবহেলায় ফুটে থাকা কাশফুল ‘এককাট্টা করে’ বালিশ এবং হালকা লেপে তুলোর বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের প্রসঙ্গও। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘এই কাশফুলগুলো পড়ে থাকে। দু’মাস পরে আর পাওয়া যায় না। কাশফুলগুলোকে এককাট্টা করে সেল্ফ হেল্প গ্রুপ (স্বনির্ভর গোষ্ঠী) এবং পাড়ার ছেলেমেয়েদের কাজে লাগিয়ে সংরক্ষণ করে তুলোর সঙ্গে মিশিয়ে কাজে লাগানো যেতে পারে।’’ কর্মসংস্থানের এমন সব পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশিই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলার গ্রামেগঞ্জে এমন অনেক জিনিস পড়ে রয়েছে, যা থেকে অনেক ব্যবসা হতে পারে।

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee midnapore Employment Kharagpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE