পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরাতেও কি হতে পারে কংগ্রেস-সিপিএম জোট? ছবি: ফেসবুক।
বাংলার পথেই কি শেষ পর্যন্ত হাঁটতে চলেছে ত্রিপুরা? এমন প্রশ্নই উস্কে দিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি আশাবাদী, পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরাতেও হতে পারে কংগ্রেস-সিপিএম জোট। সেই জোটে থাকতে পারে আদিবাসী অধ্যুষিত শক্তি তিপ্রা মথা-ও। ত্রিপুরার নির্বাচনে কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি আগেই আনন্দবাজার অনলাইনকে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
বুধবার আগরতলায় সিপিএমের সদর কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন সীতারাম। সেই বৈঠকে তিনি ত্রিপুরাতেও সিপিএম-কংগ্রেস জোটের পক্ষে মত দেন। তাতে তিপ্রা মথা-কেও যে রাখার চেষ্টা চলছে, তা-ও বুঝিয়ে দেন তিনি। সীতারাম বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য, বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করা। তাই ত্রিপুরায় আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে যা যা করার দরকার তা আমরা করব।’’ এ ক্ষেত্রে যে কংগ্রেসের হাত ধরতেও যে তাঁদের আপত্তি নেই সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সীতারাম বলেন, ‘‘আসন রফা অবশ্যই ভোটের আগে হবে। তবে সেই আসনসংখ্যা কত হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’’
ত্রিপুরার রাজনীতির বৃত্তে থাকা অনেকের মতে, বাংলার মতো সে রাজ্যেও সিপিএম তথা বামপন্থী দলগুলি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেলেছে। দু’পক্ষই জোটে চাইছেন তিপ্র মথার নেতা প্রদ্যোৎ বর্মণকে। যিনি আবার আদি কংগ্রেসি। কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে তিনি গড়ে তোলেন তিপ্র মথা। এখন তিনিই ত্রিপুরার আদিবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তাই দু’পক্ষই তাঁকে জোটে পেতে মরিয়া।
অন্য দিকে, বাংলার শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন প্রদ্যোৎ। কিন্তু সিপিএম ও কংগ্রেস দু’পক্ষই প্রদ্যোৎকে নিজেদের জোটে আনতে মরিয়া। জোটে তাঁর যোগদান নিশ্চিত হলেই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়ে যাবে। বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে তিপ্রা মথার পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন না করলেও জনজাতি উন্নয়ন নিয়ে তাঁদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন ইয়েচুরি। তিপ্র মথার দাবিকে সমর্থন করে তাদের নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা হিসাবে বিষয়টিকে দেখছেন রাজনীতির বৃত্তে থাকা অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy