রাজ্য সরকারের সার্বিক ‘ব্যর্থতা’ থেকে শুরু করে শিল্পের দুরবস্থা নিয়ে আন্দোলনে নামছে প্রদেশ কংগ্রেস। আগামী ২৯ অগস্ট শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যার সামনে বিক্ষোভ দেখানো দিয়ে শুরু হবে এই আন্দোলন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শুধুই বিবৃতি দিয়ে বসে থাকলে লাভ হবে না। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার বিকল্প কিছু নেই বলেই তাঁর মত।
অধীর রবিবার রাজ্যেরই দেওয়া তথ্য তুলে ধরে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, গত তিন বছরে রাজ্য কী ভাবে পিছিয়ে পড়েছে। সম্প্রতি রতন টাটা এ রাজ্যের শিল্প নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা টাটার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় শনিবার টাটার উদ্দেশে বলেছিলেন যে, জাতীয় গড় উৎপাদন এবং অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদনের সূচক দেখলেই বোঝা যাবে রাজ্য কতটা এগিয়েছে। মুকুলবাবুর দাবিকে খণ্ডন করতে অধীর এ দিন যোজনা কমিশনকে রাজ্য যে তথ্য দিয়েছে, তা তুলে ধরেছেন। সেই তথ্যে দেখা যাচ্ছে, গত ১০ বছরের মধ্যে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদন সব চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছিল ২০১১-১২ আর্থিক বর্ষে। সে বছর অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ১৬.৭৬%-এ পৌঁছেছিল। তার পর থেকেই উৎপাদন সূচক নামতে থাকে। ২০১২-১৩ আর্থিক বর্ষে ১৫.২৩% এবং ২০১৩-১৪ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ১৪.১৪%-এ।
রাজ্যের দেওয়া তথ্যটাই ‘বঙ্গেশ্বর’ মুকুলবাবু জানেন না বলে অধীর এ দিন কটাক্ষ করেছেন। উন্নয়ন নিয়ে এই সরকার মানুষের কাছে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না বলেও তিনি অভিযোগ করেন। মুকুলবাবুর উদ্দেশে তিনি এ দিন বলেন, “উনি তো ওঁদের সরকারের দেওয়া তথ্যটাই জানেন না। তার উপরে রতন টাটাকে জাতীয় গড় উৎপাদন এবং অভ্যন্তরীণ গড় উৎপাদন বোঝাচ্ছেন। হাস্যকর!” তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নিজের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, গত তিন বছরে এ রাজ্যে মাথাপিছু রোজগারও কমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy