বিধানসভা উপনির্বাচনে যৌথ ভাবে লড়াইয়ের প্রস্তাব নিয়ে ঘরোয়া বার্তা বিনিময় শুরু হল সিপিএম ও কংগ্রেসের। হায়দরাবাদের পার্টি কংগ্রেসে সিপিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সব শক্তির সঙ্গে বোঝাপড়া করেই এগোনো হবে। তার পরেই মহেশতলা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে গাঁটছড়়ার পথে এগোচ্ছে সিপিএম ও কংগ্রেস শিবির।
মহেশতলায় ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সমর্থনে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিল সিপিএম। এ বার তারাই ওই আসনে লড়তে চায়। কংগ্রেসের সমর্থন চেয়ে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ও সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী ফোনে কথা বলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে। আবার বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কথা হয়েছে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের। আলিমুদ্দিন আশাবাদী, বিধান ভবন শেষ পর্যন্ত তাদের পাশেই থাকবে।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য চাইছেন, আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের কাছে সমর্থন চেয়ে প্রস্তাব দিক সিপিএম। প্রদেশ সভাপতি অধীরবাবুর কথায়, ‘‘আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রস্তাব আমরা এখনও পাইনি। প্রদেশ কংগ্রেস তো বিধানসভা উপনির্বাচনে একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এআইসিসি-র কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।’’ মহেশতলায় প্রার্থী দিতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব খুব আগ্রহী, এমন নয়। তবে কোনও কারণে বামেদের সঙ্গে সমঝোতা না হলে তৈরি থাকার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের কাছে সম্ভাব্য নাম চেয়ে রেখেছেন প্রদেশ সভাপতি।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যবাবু সোমবার বলেছেন, ‘‘মহেশতলায় আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই। কংগ্রেসের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা হবে। বিজেপি-তৃণমূলকে যাঁরা হারাতে চান, এ রকম সমস্ত শক্তির কাছেই আবেদন, সমর্থন করুন। বাংলায় এই অপশাসনে বিরুদ্ধে একটা বার্তা দিতে হবে।’’ সিপিএম সূত্রের খবর, কাল, বুধবার দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকের পরে কংগ্রেসের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব যেতে পারে।
আগামী ২৮ মে-র উপনির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে ৩ থেকে ১০ মে। মহেশতলার গত বারের সিপিএম প্রার্থী শমীকবাবু এ বার জেলা সম্পাদক হয়ে যাওয়ায় তাঁর আর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে পঞ্চায়েতে তারা কোনও মনোনয়নই দিতে না পারার পরে মহেশতলায় কত দূর সুষ্ঠু ভোট হবে, সন্দিহান বিরোধীরা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy