শুকনো খাবার, ওষুধ, জামাকাপড় মজুত করে তৈরি থাকার পরামর্শ দিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। বৃহস্পতিবার সকালেই দিঘা এবং সংলগ্ন উপকূলবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে এনডিআরএফ-এর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নকে।
এ দিন সকাল থেকেই সমুদ্রতীরবর্তী গ্রামগুলিতে মাইক নিয়ে প্রচার শুরু করেন এনডিআরএফের জওয়ানরা। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই পর্যটকদের দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর তাজপুর খালি করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে এলাকার সাইক্লোন রিলিফ সেন্টারগুলিকেও।
সৈকত লাগোয়া গ্রামগুলিতে এনডিআরএফ জওয়ানরা মাইকে প্রচার করে গ্রামের মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন। তাঁরা মাইকে প্রচার করছেন, কী কী সতর্কতা নিতে হবে মানুষকে। এনডিআরএফের ডেপুটি কমান্ডান্ট যোগেশ সিংহ বলেন, ‘‘আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় কাঁচাবাড়ির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের আমরা আশপাশের পাকা স্কুল বাড়ি বা সরকারি বাড়িতে সরে যেতে বলেছি।”
এনডিআরএফের জওয়ানরা গ্রামে গ্রামে মাইকে প্রচার করছেন কেউ যেন ৩ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত সমুদ্রে না যান। বিশেষ করে ৩ মে এবং ৪ মে কেউ যেন বাইরে খোলা জায়গায় না থাকেন। পাশাপাশি প্রত্যেকেই যেন আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাতের কাছে কিছু জামাকাপড়, শুকনো খাবার, ওষুধ এবং পানীয় জল মজুত রাখেন। যোগেশ বলেন,‘‘আমরা তৈরি থাকতে বলেছি যাতে প্রয়োজনে তাঁদের দ্রুত সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।”
আরও পড়ুন: রবিবার ১১৫ কিলোমিটার বেগে এ রাজ্যে আছড়ে পড়বে ফণী, দক্ষিণবঙ্গে শুরু ঝড়বৃষ্টি
দিঘা সংলগ্ন পদিমা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এ দিনের বৈঠকে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ৭২ কিলোমিটার সৈকত। প্রত্যেক গ্রামে বিশেষ আপৎকালীন বাহিনী গঠন করে কাঁচাবাড়িতে থাকা বাসিন্দাদের আয়লা সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ১০৩টি ট্রেন বাতিল, পুরী থেকে পর্যটক ফেরাতে বিশেষ ট্রেন
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে সমস্ত হোটেলে থাকা পর্যটকদের চলে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। যাঁরা যাচ্ছেন না, তাঁদের বাইরে না বার হতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সৈকতে যাতে কেউ না যেতে না পারেন তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের। সৈকতের প্রবেশ পথে দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুপুরের পর থেকেই সমুদ্রের চেহারার পরিবর্তন চোখে পড়ছে। ধীরে ধীরে ঢেউয়ের পরিমাণ বাড়ছে। ফণী আছড়ে পড়ার পর জলের উচ্চতা প্রায় দেড় মিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা এনডিআরএফের।