আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীরা কেমন আছেন, খোঁজ নিয়ে গেলেন গোয়েন্দা কর্তা। পুলিশের এক সূত্রে খবর, বুধবার মেদিনীপুর পুলিশ লাইনের সেফ হাউসে এক বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন রাজ্য গোয়েন্দা দফতরের অ্যাডভাইসর ওমপ্রকাশ গুপ্ত, ছিলেন ডিআইজি (মেদিনীপুর) বাস্তব বৈদ্য, জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ প্রমুখ।
জানা গিয়েছে, আত্মসমর্পণকারী বেশ কয়েকজন মাওবাদীকে এ দিন পুলিশ লাইনে ডাকা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই এখন পুলিশে কাজ করেন। গোয়েন্দা কর্তা তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জেনে নেন, কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা। জেলা পুলিশের এক সূত্রের দাবি, এটা রুটিন বৈঠক।
রাজ্যে পালাবদলের পরে অনেক মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশের এক সূত্রে খবর, তাঁদের সমস্যার কথা সব সময় পুলিশের শীর্ষ মহলে পৌঁছয় না। তাই কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, থাকলে তা কী খতিয়ে দেখতেই এ দিন মেদিনীপুরের বৈঠক।
জঙ্গলমহলে কি নতুন করে মাওবাদীদের প্রভাব বাড়ার কোনও আশঙ্কা রয়েছে? জেলা পুলিশের এক কর্তার জবাব, “এমন কোনও আশঙ্কা নেই। তবে জঙ্গলমহল সব সময়ই স্পর্শকাতর। ফলে, সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।”
২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর শীর্ষ মাওবাদী নেতার কিষেণজির মৃত্যুর পর থেকে গত পাঁচ বছরে জঙ্গলমহলে মাওবাদী-নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। তবে বেশ কিছু মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। কখনও পোস্টার মিলেছে পুরুলিয়ায়, কখনও বাঁকুড়ায়, কখনও বা পশ্চিম মেদিনীপুর কিংবা ঝাড়গ্রামের জঙ্গল এলাকা থেকে। বিভিন্ন এলাকায় মাটি খুঁড়ে মিলেছে বন্দুক-গুলিও।
কয়েক সপ্তাহ আগেই মেদিনীপুরে এসে বৈঠক করে গিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ। মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ওই বৈঠক হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম প্রভৃতি জেলার পুলিশ কর্তাদের পাশাপাশি যে বৈঠকে ছিলেন এডিজি (আইবি) গঙ্গেশ্বর সিংহ। সেই বৈঠকে সব জেলাকেই আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে যান ডিজি। থানাগুলোকেও সতর্ক করে দেওয়ার কথাও জানিয়ে যান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy