বিপরীত: মালদহের মানিকচকে অর্ধ সমাপ্ত শৌচাগার। এ দিকে এ দিনই নির্মল জেলা ঘোষণার জন্য ট্যাবলো ছাড়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
সু-কর্মীশ্রীর পর এবার আবাস বন্ধু। কর্মীদের উত্সাহ দিতে আরও একটি পুরস্কারের আয়োজন করছে মালদহের ইংরেজবাজার ব্লক প্রশাসন। বাংলার আবাস যোজনার কাজ দেখাশোনা করেন যে সব স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে এই ‘আবাস বন্ধু’ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। প্রতিযোগিতার সময়সীমা রয়েছে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে ১৭ নভেম্বরে।
ইংরেজবাজার ব্লককে নির্মল করতে পঞ্চায়েতের যে সমস্ত কর্মীরা ভালো কাজের নজির রেখেছিলেন তাঁদের উত্সাহিত করতে ব্লক প্রশাসন সু-কর্মীশ্রী পুরস্কার তুলে দিয়েছিল। এবার দেওয়া হচ্ছে আবাস বন্ধু পুরস্কার। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার আবাস যোজনা প্রকল্পে ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে ব্লকের ১১টি পঞ্চায়েতে ১৮২৮টি বাড়ি তৈরির বরাত পায় ব্লক। প্রতিটি বাড়ি তৈরির জন্য খরচ হবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু উপভোক্তা একবারে সেই টাকা পাবেন না। চারটি ভাগে সেই টাকা মিলবে। প্রথমে মিলবে ৪০ হাজার টাকা। সেই টাকার কাজ শেষ হলে পর্যায়ক্রমে মিলবে বাকি টাকা। ব্লকের বেশিরভাগ উপভোক্তার কাছে তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির টাকা ইতিমধ্যে ঢুকে গিয়েছে। এ দিকে চলতি আর্থিক বছরে ব্লকে ওই প্রকল্পে আরও আট হাজার বাড়ি তৈরি হবে। সেই উপভোক্তাদের কাছেও প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। এই কারণেই বিগত আর্থিক বর্ষের বরাদ্দের আবাসের কাজ এখন দ্রুত শেষ করতে চাইছে ব্লক প্রশাসন।
ওই ব্লকে আবাস তৈরিতে নজরদারি ও পর্যায়ক্রমে কাজের খতিয়ানের তদারকিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে থেকে নিযুক্ত করা হয়েছে ৩৫ জনকে। যাদের পোশাকি নাম জিও ট্যাগার। তাঁরা একটি সরকারি অ্যাপে পর্যায়ক্রমে ওই বাড়িগুলো তৈরির ছবি তুলে আপলোড করেন। সেই ভিত্তিতেই উপভোক্তা পরবর্তী কিস্তির অর্থ পান। এবার ইংরেজবাজার ব্লক প্রশাসন সেই জিও ট্যাগারদের কাজে উত্সাহ দিতেই আবাস বন্ধু পুরস্কার দিচ্ছে। বিডিও দেবর্ষি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারি গাইডলাইন মেনে ও গুণগতমান বজায় রেখে জিও ট্যাগাররা ১৫ নভেম্বরের মধ্যে যে যত বেশি সংখ্যায় আবাস তৈরির কাজ শেষ করে দেখাতে পারবেন তাঁদেরই জন্য এই পুরস্কার।’’ ১৭ তারিখ ব্লক দফতরে সেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। দেওয়া হবে ট্রফি, শংসাপত্র ও উপহার। এ দিকে জিও ট্যাগাররা পুরস্কারের জন্য যাতে কোনও অনিয়মে জড়িয়ে না পড়েন সেজন্য তাঁদের উপর নজরদারিতে যে মাইক্রো অফিসাররা রয়েছেন তাঁদেরও শংসাপত্র দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy