Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বধূর ক্ষতবিক্ষত দেহ, ধৃত ভাড়াটিয়া

বাড়ির শৌচাগার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। গাইঘাটার ফুলসরায় বিএম পল্লি এলাকার বাসিন্দা অপর্ণা মণ্ডল (৪০) নামে ওই মহিলার স্বামী গৌতম মণ্ডল জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কলকাতা শাখার কর্মী। শুক্রবার সকালে কর্মস্থলে গিয়েছিলেন তিনি। অপর্ণাদেবী বাড়িতে একাই ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গাইঘাটা শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৪ ০২:০৯
Share: Save:

বাড়ির শৌচাগার থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় এক মহিলার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। গাইঘাটার ফুলসরায় বিএম পল্লি এলাকার বাসিন্দা অপর্ণা মণ্ডল (৪০) নামে ওই মহিলার স্বামী গৌতম মণ্ডল জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কলকাতা শাখার কর্মী। শুক্রবার সকালে কর্মস্থলে গিয়েছিলেন তিনি। অপর্ণাদেবী বাড়িতে একাই ছিলেন। সন্ধ্যায় তাঁদের এক ভাড়াটিয়া আভা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির শৌচাগারে অপর্ণাদেবীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।

মৃতার ভাই পরিমল সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের অভিযোগে জড়িত সন্দেহে ওই বাড়ির আর এক ভাড়াটিয়া বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিশ্বজিৎবাবুর স্ত্রী চুমকির নামে অভিযোগ হলেও তিনি এখন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। শনিবার বনগাঁ আদালতে ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অবশ্য অনুমান, টাকা-পয়সা ও সোনার গয়নার লোভে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ বাড়িটি সিল করে দিয়েছে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় পরিচিত কারও যুক্ত থাকার সম্ভবনা রয়েছে। খুনের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির দু’টি বাড়ি। দোতলা একটি বাড়িতে থাকতেন গৌতমবাবু ও অপর্ণাদেবী। তাঁদের এক মাত্র ছেলে গৌরব পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকেন। সামনে একতলা বাড়ির দু’টি ঘর দু’টি পরিবারকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। একটি ঘরে থাকতেন ধৃত বিশ্বজিৎবাবু ও তাঁর স্ত্রী। অন্য ঘরে থাকেন আভাদেবী ও তাঁর পরিবার। গৌতমবাবু প্রতি দিন গাইঘাটা থেকে কলকাতার অফিসে যাতায়াত করতেন। শুক্রবারও রোজকার মতো অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। আভাদেবীও ওই দিন সকালে স্থানীয় শিমুলিয়া পাড়াতে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। আভাদেবী বলেন, “ সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখি, দিদির বাড়ি অন্ধকার। আলো জ্বলেনি। সামনের গ্রিলে তালা দেওয়া। ডাকা-ডাকি করেও কোনও সাড়া-শব্দ পাচ্ছিলাম না। ঘরের পিছনের একটি গ্রিলের শাটার খোলা ছিল। সেখান দিয়ে উঁকি মেরে দেখি, বাথরুমের ভিতরে বিবস্ত্র অবস্থায় দিদির দেহ পড়ে রয়েছে।” খবর পেয়ে আসে পুলিশও। সেই সময়ে বিশ্বজিতের ঘরের সামনে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। তাঁরা তােঁক আটকে রাখেন। যদিও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আগে কখনও অপর্ণাদেবীর সঙ্গে বিশ্বজিৎবাবুদের পরিবারের বিবাদের ঘটনা তাঁদের চোখে পড়েনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

gaighata murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE