Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

যুবকের ঝুলন্ত দেহ গাছে, খুনে অভিযুক্ত ছাত্রীর বাবা

প্রেমের সম্পর্ক মানতে না পারায় এক যুবককে লোক লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর প্রেমিকার বাবার বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে হাসনাবাদের আবাদ কুলিয়াডাঙা গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর মণ্ডল ওরফে টিকা (২৪) নামে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ মেলে বাড়ি কিছুটা দূরের একটি গাছ থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাসনাবাদ শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৪ ০১:৩৫
Share: Save:

প্রেমের সম্পর্ক মানতে না পারায় এক যুবককে লোক লাগিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর প্রেমিকার বাবার বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে হাসনাবাদের আবাদ কুলিয়াডাঙা গ্রামের বাসিন্দা দীপঙ্কর মণ্ডল ওরফে টিকা (২৪) নামে ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ মেলে বাড়ি কিছুটা দূরের একটি গাছ থেকে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন দীপঙ্কর। বছর খানেক আগে তাঁর সঙ্গে গ্রামেরই দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি ফোন পেয়ে দীপঙ্কর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। আর ফেরেননি। শুক্রবার দেহ উদ্ধারের পরে তাঁর বাবাই পুলিশের কাছে ওই অভিযোগ দায়ের করেন।

দীপঙ্করের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, পিটিয়ে খুন করে তাঁর দেহটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর শরীরে রক্তের দাগও মিলেছে। মৃতের মা সন্তোষীদেবীর দাবি, “আমরা গরিব হওয়ায় মেয়েটির পরিবার ছেলেকে মেনে নেয়নি। নানা ভাবে ওঁরা ওকে হুমকি দিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার মেয়েটিই ফোন করে ছেলেকে ডাকে। পরিকল্পনা করেই ওকে খুন করা হল। ওর মোবাইলের সিমকার্ড এবং মানিব্যাগের খোঁজ মেলেনি।” মেয়েটির পরিবারের লোকজনের দাবি, “তাঁদের পরিবারের মেয়ের সঙ্গে দীপঙ্করের সম্পর্ক নিয়ে কোনও আপত্তি ছিল না। দীপঙ্করের বাড়ি গিয়ে দু’জনের বিয়ে নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। খুনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

hasnabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE