ক্রেতা সেজে মিষ্টির দোকানে ঢুকে মালিককে গুলি করে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করল দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে ফলতার সহরারহাট মোড়ে ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের মধ্যে। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার সকাল ছ’টা থেকে তাঁরা বেঞ্চ পেতে ওই মোড় অবরোধ করেন। প্রায় ছ’ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ ওঠে।
নিহতের নাম কার্তিক ঘোষ (৩২)। বাড়ি ওই এলাকাতেই। তবে, কী কারণে তাঁকে খুন করা হল সে ব্যাপারে অন্ধকারে তাঁর পরিবারের লোকজন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরে তাঁকে খুন করা হতে পারে। রবিবার ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠী-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশের কর্তারা। পুলিশ সুপার বলেন, “ওই মিষ্টির দোকানের সিসি টিভির ফুটেজ থেকে কিছু তথ্য মিলেছে। দোকানের মেঝে থেকে দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া তিনটি ধারাল অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অপরাধীদের খোঁজ চলছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ক্রেতা না থাকায় কার্তিক দোকানের ক্যাশবাক্সের পাশে বসে মুড়ি খাচ্ছিলেন। সেই সময়ে তিনটি মোটরবাইকে ছয় দুষ্কৃতী আসে। প্রথমে চার জন দোকানে ঢুকে দই খেতে চায়। দোকানের কর্মচারী নির্মল প্রামাণিক তাদের চেয়ারে বসিয়ে দই এনে দেন। তাদের খাওয়া শেষ হওয়ার মুখে আরও দুই দুষ্কৃতী এসে দলে যোগ দেয়। তারাও দই খায়। তার পরে সকলে উঠে কার্তিককে ঘিরে ধরে। এক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র বের করে কার্তিকের পেটে গুলি করে। তিনি পড়ে যেতেই বাকিরা ধারাল অস্ত্র দিতে কোপাতে থাকে।