দুর্গা নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন না বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বরং শনিবার সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে দুর্নীতির বিষয় টেনেই বিঁধলেন তৃণমূলকে।
শুক্রবার দুর্গাকে নিয়ে মন্তব্য করে নতুন বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন দিলীপ। তাঁর ওই মন্তব্যের পর থেকে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, যে বিজেপি নিজেদের হিন্দু ধর্মের ‘রক্ষক’ বলে দাবি করে, সেই দলেরই এক জন রাজ্য সভাপতি কী ভাবে দেবী দুর্গার অবমাননা করেন? ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর, শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে অবশ্য এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান দিলীপ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোডে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘রামের নামে রাজনীতি’ হচ্ছে। তৃণমূলের উদ্দেশে বলেন, ‘‘ওরা দুর্গাকে রামের সামনে নিয়ে এসে ঝগড়া বাধাচ্ছে। রাম দুর্গার উপাসক ছিলেন। দুর্গাকে পুজো করে রাবণকে বধ করেছিলেন। ওরা জানে না। সে জন্য যারা রামের সামনে দুর্গাকে নিয়ে আসে, তাদের বোঝা উচিত রাজনীতিটা দুর্গা-কালীর নয়। দুর্গা-কালী মন্দিরে থাক, ওখানে পুজো দিন। রাজনীতি করতে হলে আসুন, আপনাদের আদর্শ কে বলুন? সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা আপনাদের আদর্শ।’’ মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে দুর্নীতি-প্রশ্নে তৃণমূলকে বিঁধতে তৎপর হয়ে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
দিলীপের ‘দুর্গা’ মম্তব্য নিয়ে কড়া অবস্থান তৃণমূলের। তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় বলেন, ‘‘বিজেপি রামকে যেখানে সেখানে ব্যবহার করছে। রামকে আঁকড়ে ধরেই ওদের রাজনীতি। সেই রামচন্দ্রই দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন। আমরা তো দেবী দুর্গাকে নারী শক্তি হিসাবে পুজো করি। দুর্গোৎসব আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। দিলীপ যে ঔদ্ধত্য এবং স্পর্ধা দেখিয়েছেন, তাতে তাঁকে বাংলার মানুষ চূর্ণবিচূর্ণ করে দেবে। ওঁর জ্ঞান খুবই সীমিত। তাই উনি দেবী দুর্গার চোদ্দ পুরুষের কথা তুলতে পারেন। রামচন্দ্র যে দেবী দুর্গার অকালবোধন করেছিলেন তা-ও বোধহয় বিজেপি সভাপতি জানেন না। তাই উনি সাফাই দিয়ে কী বলছেন তাতে মানুষের আগ্রহ নেই।’’