Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মুখ্যমন্ত্রীর ‘বিকৃত’ ছবি ফেসবুকে

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের পরিচয় ও ঠিকানা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। আদৌ ওই দুই ব্যক্তি ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট ও শেয়ার করেছেন, নাকি তাঁদের নাম করে অন্য কেউ ওই কাজ করেছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত ছবি ঘিরে বিতর্ক। —ফাইল ছবি

মুখ্যমন্ত্রীর বিতর্কিত ছবি ঘিরে বিতর্ক। —ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:০৮
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি বিকৃত করে আপত্তিকর মন্তব্য-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানোর অভিযোগ উঠল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আইএনটিটিইউসির উত্তর দিনাজপুর জেলা কার্যকরী সভাপতি কৌশিক দে। রায়গঞ্জের রমেন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা কৌশিক এনবিএসটিসির তৃণমূল প্রভাবিত চালক ও শ্রমিক সংগঠনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ জানিয়েছে, সপ্তর্ষি নাথ ও প্রদীপ সরকার নামে দুই ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ওই বিতর্কিত ছবি পোস্ট ও শেয়ার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের পরিচয় ও ঠিকানা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। আদৌ ওই দুই ব্যক্তি ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট ও শেয়ার করেছেন, নাকি তাঁদের নাম করে অন্য কেউ ওই কাজ করেছেন তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ দুই ব্যক্তির নামে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার আইনে জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এ দিন রায়গঞ্জ থানার তরফে ওই অভিযোগটি শিলিগুড়িতে পুলিশের সাইবার সেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, ‘‘পুলিশ ও সাইবার সেল যৌথ ভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। খুব শীঘ্রই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ কৌশিকের দাবি, গত বুধবার রাতে তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে আপত্তিকর মন্তব্য-সহ মুখ্যমন্ত্রীর ছবিটি দেখতে পান। তাঁর অভিযোগ, গত ২৭ মে সপ্তর্ষি নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বিতর্কিত ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। বুধবার প্রদীপ সরকার নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি শেয়ার করা হয়।

কৌশিকের দাবি, ‘‘ফেসবুকে সপ্তর্ষি নাথ নামের প্রোফাইল ছবিতে কোনও ব্যক্তির ছবির পরিবর্তে পদ্মফুলের ছবি রয়েছে। আমাদের সন্দেহ বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলকে রুখতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুত্সা রটানোর কাজ শুরু করেছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর ছবি পোস্ট ও শেয়ার করার রাজনীতি করে না। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE