ফাইল চিত্র
মেয়াদ শেষের সাড়ে চার বছর আগে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়েছেন তৃণমূলের অর্পিতা ঘোষ। বৃহস্পতিবার তাই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। বললেন, ‘‘রাজ্যসভায় আমার ভাল লাগছিল না। এটাই একমাত্র কারণ। আর যাঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, প্রমাণ তো তাঁদের করতে হবে। এটা কি ‘চাঁদ বণিকের পালা’ হচ্ছে নাকি, যে সতীকে প্রমাণ করতে হবে সতীত্ব। যাঁরা অভিযোগ করছেন, প্রমাণের দায়িত্ব তাঁদের।’’
তিনি বলেছেন, ‘‘ভাবনা চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই আমার মাথায় ঘুরছিল যে কী ভাবে দলের কাজ করব। আমি খুব মন দিয়ে সংগঠন করতে চাই, আর থিয়েটারটা করতে চাই। আমার থিয়েটারের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছিল। রাজ্যস্তরে যদি কলকাতায় থেকে সংগঠনের কাজ করতে পারি, তা হলে আমার থিয়েটার করতেও সুবিধা হয়।’’
কবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন? ঘনিষ্ঠ মহলে অর্পিতা জানিয়েছেন, তিনি সুব্রত বক্সী ও ডেরেক’ও ব্রায়েনকে আগেই এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন। পরে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁরা সবুজ সঙ্কেত দিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি বৃহস্পতিবার বললেন, ‘‘শেষ দু’তিন মাস ধরে এর কথা চলছিল। লোকসভা আর রাজ্যসভার অনেক তফাৎ। আমি লোকসভা করে এসেছি। রাজ্যসভায় আমার তো কোনও কেন্দ্র নেই। পরিষেবা দেওয়ার জন্য একটা কেন্দ্র চাই। সেই স্পেসটা রাজ্যসভায় পাচ্ছিলাম না। আমি দল ও রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আমার নিজের মনে হচ্ছিল, সেটা আটকে যাচ্ছে।’’ পার্টির তরফ থেকে অর্পিতাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে নানা মহলে। এই দাবি উড়িয়ে অর্পিতা বললেন, ‘‘পার্টি এমন কোনও নির্দেশ দেয়নি। আর পার্টি আমার কাজে খুশি কি না, তা দু’চার দিনের মধ্যেই জানতে পারবেন। পার্টি একটা পদ দেয়, একটা দায়িত্ব দেয়। সেই দায়িত্ব দেখেই বুঝতে পারবেন পার্টি খুশি কি না। দরকার হলে শীর্ষ নেতৃত্বকে প্রশ্ন করে দেখুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy