শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনা থেকে দূরে রাখায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। পরপর ছ’দিনের প্রশ্ন মোবাইলের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় সেই ক্ষোভ চরমে ওঠে। এই পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের আলোচনায় বসা উচিত। এই বিষয়ে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
পার্থবাবু এ দিন শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় একের পর এক প্রশ্ন বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার পরে এই বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার দাবি তুলছিল বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘পর্ষদ, সংসদ পরীক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের যেমন জানায়, একই ভাবে শিক্ষক সংগঠনগুলিকেও সব জানানো উচিত।’’ একই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, তিন মাস অন্তর তিনিও এই ধরনের বৈঠক করতে চান।
এ দিন শিক্ষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচলনার বিষয়ে তাদের বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলে সরকারি কর্মচারীদের ভেনু ইনচার্জ করায় শিক্ষামন্ত্রীর সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবিটিএ-র সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের হলে ঢোকার নির্দেশের বিষয়টিও বৈঠকে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পে স্কুলেক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রীকে। পার্থবাবু জানান, তিনি সকলের বক্তব্য শুনেছেন। তবে স্কুলে শিক্ষক কম থাকার অভিযোগ ঠিক নয়। নিয়োগ হচ্ছে। বদলি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানান, তাঁদের অনুরোধ মেনে শিক্ষামন্ত্রী যে শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন, এটা খুবই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy