—ফাইল চিত্র।
সম্পত্তি কর বৃদ্ধি থেকে কর্মী নিয়োগ বা জঞ্জাল অপসারণ— সব ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয়েছে। হাওড়া পুরসভায় এসে এমন মন্তব্য করে দলের সদ্য প্রাক্তন পুর বোর্ডকেই কাঠগড়ায় তুললেন ফিরহাদ হাকিম।
বুধবার বীরভূমের প্রশাসনিক সভায় হাওড়ায় জঞ্জাল পরিষ্কার না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই এ দিন হাওড়ার পুর কমিশনার তথা প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণের সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন পুরমন্ত্রী। বৈঠকে সদ্য প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী কিংবা কোনও কাউন্সিলরকেই ডাকা হয়নি। পুরসভা এলাকার পাঁচ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে পুর কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন ফিরহাদ। পরে বলেন, ‘‘এখন হাওড়া পুর এলাকায় ঠিকঠাক কাজ চলছে।’’
এ দিন ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশের পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আগে সংযুক্ত ওয়ার্ডগুলিতে ১৫ দিন অন্তর জঞ্জাল তোলা হত। এখন প্রতিদিন তোলা হবে।’’ রথীনবাবু অবশ্য দাবি করেন, ১৫ দিন অন্তর জঞ্জাল তোলা হয়নি। এ দিন সম্পত্তি কর নিয়েও ক্ষোভ জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘‘ভ্যালুয়েশন বোর্ডের অনুমোদন না নিয়ে স্রেফ মেয়র পরিষদের বৈঠক করে কিছু জায়গায় সম্পত্তি কর বাড়ানো হয়েছে। এটা আমার অজানা ছিল।’’ ফের সম্পত্তি কর কমানো এবং যাঁদের থেকে বেশি কর নেওয়া
হয়েছে, পরের বিলে বর্ধিত হিসেব ঠিক করে দিতে পুর কমিশনারকে নির্দেশ দেন ফিরহাদ। তবে সদ্য প্রাক্তন মেয়রের দাবি, সম্পত্তি কর বৃদ্ধিতে তিনি কোনও অনিয়ম করেননি। রথীনবাবুর মন্তব্য, ‘‘পুরমন্ত্রী হয়তো সবটা না জেনে বলছেন। ভ্যালুয়েশন বোর্ডের অনুমতি বাধ্যতামূলক নয়। পুরবোর্ড পুর কমিশনারের নেতৃত্বে কমিটি করে পুর কর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’’
ফিরহাদের থেকে জানতে চাওয়া হয়, তিন মাস বেতন না পাওয়া ৪০০ জন অস্থায়ী কর্মীদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে? মন্ত্রী বলেন, ‘‘অস্থায়ী কর্মী না নিতে পুরবোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়োগ হয়েছে। আগেও তিন হাজার অস্থায়ী কর্মী নেওয়া হয়েছে। তাই নতুন ভাবে কর্মী নেওয়ার আর ক্ষমতা নেই।’’
তবে ওই ৪০০ জনের বিষয়টি মানবিকতার খাতিরে চিন্তাভাবনা করার আশ্বাস দেন ফিরহাদ। আর রথীনবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পুরসভা চালাতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy