এবারও বন্যায় ভেসেছে গ্রামবাংলার একটা বড় অংশ। জলের মধ্যেই উৎসবহীন দিন কাটালেন দুই দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, হুগলি এবংহাওড়ার বহু এলাকার মানুষ। বন্যার্ত ওই মানুষদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয় বিভিন্ন জেলার একাধিক নাট্যদল। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকায় ওই দলগুলির নাট্যকর্মীরা নিয়ে পৌঁছলেন ত্রাণ।
উদ্যোগের নাম ‘বন্যাত্রাণে নাট্যবন্ধুরা’। শামিল হলেন ‘হাওড়া নির্ণয়’, ‘হাওড়া জোনাকি’, ‘পূর্ব কলকাতা বিদূষক’, ‘যাদবপুর আনকার্টেইন্ড’, ‘কাঁকিনাড়া শিল্পাঙ্গন’, ‘আমাদপুর সম্প্রীতি’, ‘আরামবাগ নাট্য অ্যাকাডেমি’র মতো দলের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গেই অংশ নিয়েছিলেন এমন অনেকে, যাঁরা একাধিক নাট্যদলে কাজ করেন। ছিলেনমানবাধিকার নিয়ে কাজ করা কয়েক জন। গান বেঁধে, সুর করে, সেই গান গেয়ে পুজোর সময় কলকাতা ও শহরতলির প্যান্ডেলে-পথে-বাজারে কৌটো ঝাঁকিয়ে, কাপড় বিছিয়ে চাঁদা তুলেছিলেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সাহায্যের আবেদন জানানো হয়। অনলাইনেও চাঁদা দেন বহু মানুষ। চাঁদার টাকায় ত্রাণসামগ্রী কেনা হয় বলে ‘বন্যাত্রাণে নাট্যবন্ধুরা’-র তরফে জানানো হয়েছে।
প্রথম দফায়, লক্ষ্মী পুজোর দিন ওই দলটি ত্রাণ নিয়ে পৌঁছয়, মালদহ জেলার দু’টি গ্রামের ৩০০-রও বেশি পরিবারের কাছে। ওই দুই গ্রাম হল রতুয়া-১ ব্লকেরকাহালা অঞ্চলের সাঁইপাড়া ও পূর্ব বিন্দপাড়া। রতুয়া থানার কিছুটা দূরেই কাহালা।সেখানে পৌঁছনোর রাস্তা ছিল জলের তলায়। ওই জায়গা পেরোতে হয়েছে নৌকায়, ত্রাণের মালপত্র-সহ। সারা দিন ধরে সেখানে চাল-ডাল-আলু-নুন বিলি করেন নাট্যকর্মীরা। সঙ্গে ছিল জ্বর-পেটখারাপ-চুলকানির ওষুধ, স্যানিটারি ন্যাপকিনের মতো জিনিসও।