Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দেড় বছর পরে টাকা পেতে চলেছে অষ্টমী

নবান্ন থেকে ১২ ডিসেম্বর এই শংসাপত্র ইস্যু করা হয়েছে। যদিও তার আগে দেড় বছর এটা নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। রবিবার তার কথা আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়।

অষ্টমী রায়। —নিজস্ব চিত্র।

অষ্টমী রায়। —নিজস্ব চিত্র।

পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫৯
Share: Save:

কন্যাশ্রী-২ এর টাকা পেতে চলেছে অষ্টমী রায়। রবিবার তার স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, তার কন্যাশ্রী-২ এর শংসাপত্র ও টাকার অনুমোদনপত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। যদিও রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অষ্টমী নিজে সে কথা জানতে পারেনি বলে জানিয়েছে।

যে স্কুল থেকে অষ্টমী উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিল সেই বড়াসিনি নন্দলাল হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক দীপক মণ্ডল রবিবার আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেন, ‘‘অষ্টমীর যে দেড় বছর ধরে কন্যাশ্রীর টাকা পাইনি সেটা আমরা জানতাম না। আনন্দবাজারের কাছ থেকে জানার পরেই আমরা দ্রুত কাগজপত্র নিয়ে ব্লক প্রশাসনে তদ্বির শুরু করেছিলাম। ১৫ ডিসেম্বর খবর পাই ওর কন্যাশ্রী-২ শংসাপত্র হয়ে গিয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর শংসাপত্র নেটে দেখতে পাই। সেখানে ১২ ডিসেম্বরের সই ছিল।’’

নবান্ন থেকে ১২ ডিসেম্বর এই শংসাপত্র ইস্যু করা হয়েছে। যদিও তার আগে দেড় বছর এটা নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। রবিবার তার কথা আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়। অবশেষে যে শংসাপত্র এসেছে সে কথা অষ্টমীকে জানানো হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে দীপকবাবুর বলেন, ‘‘সেটা রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি।’’ টাকা তার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে কিনা সে ব্যাপারে দীপকবাবুর উত্তর, ‘‘সেটা ঠিক জানি না। তবে শংসাপত্র যখন চলে এসেছে তখন টাকাও কয়েক দিনের মধ্যে ঢুকে যাবে।’’ কেন অষ্টমীকে এই খবর এখনও দেওয়া হয়নি সে ব্যাপারে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। রবিবার অষ্টমীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে টেলিফোনে সে বলে, ‘‘কন্যাশ্রী-২ এর শংসাপত্র আসার কথা বা টাকার অনুমোদন পত্র আসার কথা স্কুল বা প্রশাসন থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত কেউ জানায়নি। আপনারা যখন বলছেন তখন সোমবার স্কুলে আর ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়ে দেখব।’’

পুরুলিয়ার ছড়ড়া ডুমডুমি পঞ্চায়েতের জাহাজপুর গ্রামের মেয়ে অষ্টমী। পড়াশোনার জন্য এক সময়ে বিয়ে রুখে দেওয়া এই মেয়ের কলেজের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিকের পরে কন্যাশ্রী-টু প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা না-পাওয়ায়। তার পরে দেড় বছরের বেশি সময় কেটে গিয়েছিল। তার মাধ্যমিকের স্কুল ও উচ্চমাধ্যমিকের স্কুল এর জন্য পরস্পরের উপরে দোষ চাপিয়েছিল। হতদরিদ্র পরিবারের অষ্টমী কলেজ যাওয়া বন্ধ করে শুরু করেছিল দিনমজুরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Money Kanyashree Purulia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE